ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম । কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল খুলবো

by Arif Rabbani Hasan
ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম

আপনি, আমি সবাই জানি বর্তমানে ইউটিউব কতটা জনপ্রিয়। এজন্যই অনেকেই এখন ইউটিউব থেকে ইনকাম করছে প্রচুর টাকা। আপনিও কি ইনকাম করতে চান ইউটিউব থেকে? চাইলে আপনার প্রয়োজন হবে একটি ইউটিউব চ্যানেল। আর আপনি চাইলে এখনি খুলে নিতে পারেন আপনার নিজেস্ব ইউটিউব চ্যানেল। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক অতন্ত্য সহজভাবে কম্পিউটার ও মোবাইল থেকে ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম ।

একনজরে দেখুন যা যা জানবেনঃ

ইউটিউব কি? ইউটিউব এর মালিক কে?

অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি আমেরিকান ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে ইউটিউব। জনপ্রিয় এই ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফরমটি তৈরি করেছেন তিনজন প্রাক্তন পেপাল কর্মচারী।

২০০৫ সালে চেড হার্লি, স্টিভ চেন ও বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত জাওয়েদ করিম মিলে ইউটিউব তৈরী করেন। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে ইউটিউব প্রথম শুরু হয়েছিল ডেটিং সার্ভিস হিসেবে।

কিন্তু ধীরে ধীরে মানুষের কাছে অন্য যেকোনো কনটেন্টের থেকে ভিডিও কনটেন্ট এর জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা বাড়তে থাকে। সাথে সাথে বাড়তে থাকে ইউটিউব এর জনপ্রিয়তাও।

এসকল ব্যাপার খেয়াল করে 2006 সালে 1.65 বিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে কিনে নেয় ইউটিউব কে কিনে নেয় গুগল।

ইউটিউব চ্যানেল কি?

আপনি যদি ইউটিউবে কোন ভিডিও আপলোড করতে চান তাহলে আপনাকে প্রথমেই যে কাজ গুলো করতে হবে তার মাঝে একটি হচ্ছে ইউটিউবে একটি একাউন্ট খুলে সেখানে প্রোফাইল তৈরি করে নেওয়া।

উদাহরণস্বরূপ বলা যায় আপনার ফেইসবুক প্রোফাইল এর কথা। অর্থাৎ ফেসবুকে যেমন থাকে ফেসবুক প্রোফাইল, তেমনি ইউটিউবে থাকে ইউটিউব চ্যানেল।

ইউটিউবাররা তাদের ভিডিও আপলোড করার জন্য ইউটিউবে যে প্রোফাইল তৈরি করে থাকেন সেই প্রোফাইলই হচ্ছে ইউটিউব চ্যানেল।

ইউটিউব চ্যানেল খুলতে কি কি লাগে?

আপনি যেহেতু ইউটিউব চ্যানেল খুলতেই যাচ্ছেন তাহলে আপনার প্রশ্ন হতে পারে একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলতে কি কি লাগে?

আপনি হয়তো শুনে খুশি হবেন যে আসলে একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলতে তেমন কিছুই লাগেনা। আপনার ফোনে থাকা ইন্টারনেট সংযোগ আর জিমেইল একাউন্ট দিয়ে খুব সহজ কয়েকটি ধাপে এখনি খুলতে পারেন ইউটিউব চ্যানেল।

তবে একটি চ্যানেল খোলার পরে চ্যানেলটিকে ভেরিফাই করার জন্য একটি এক্টিভ ফোন নাম্বার এর প্রয়োজন হয়। সে ক্ষেত্রে বলা যায় সবমিলিয়ে ইউটিউব চ্যানেল খুলতে যা যা লাগেঃ

  • ইন্টারনেট সংযোগ
  • জিমেইল অর্থাৎ গুগল একাউন্ট
  • মোবাইল নাম্বার

ইউটিউব একাউন্ট এর প্রকারভেদ

পার্সোনাল চ্যানেল ও ব্র‍্যান্ড চ্যানেল নামের দুই প্রকারের চ্যানেল থাকে ইউটিউবে।

যেসকল ইউটিউব চ্যানেল এর নিয়ন্ত্রণ একজন ব্যাক্তি কেন্দ্রিক হয় তাকে পার্সোনাল চ্যানেল বলে। অন্যদিকে যেসকল ইউটিউব চ্যানেল এর নিয়ন্ত্রন কোন প্রতিষ্ঠান বা টিম কেন্দ্রিক হয় তাকে ব্র্যান্ড চ্যানেল বলে।

এজন্যই ব্র্যান্ড চ্যানেলগুলো পার্সোনাল চ্যানেলের তুলনায় বেশি প্রফেশনাল মনে হয়।

মনে করুন আপনার একটি চ্যানেলে আপনি কেবল আপনার পোষা কুকুরের ভিডিও আপলোড করেন। আর অপর একটি চ্যানেলে সেই কুকুরের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন খাবার রিভিউ করেন। তাহলে ভাবুন তো কোনটি পার্সোনাল আর কোনটি ব্রেন্ড চ্যানেল?

কুকুর নিয়ে ভিডিও দেওয়া চ্যানেলটি হচ্ছে পার্সোনাল চ্যানেল অন্যদিকে কুকুরের বিভিন্ন খাবার রিভিউ করা চ্যানেলটি হচ্ছে একটি ব্রেন্ড চ্যানেল।

আপনার কি ধরনের ইউটিউব চ্যানেল খুলা উচিত?

পারসোনাল একাউন্ট এর তুলনায় ব্র‍্যান্ড একাউন্ট বেশি নিরাপদ।

কারণ পারসোনাল একাউটন্ট এর নিয়ন্ত্রন আপনাকে একটি জিমেইল এ রাখতে হবে অন্যদিকে ব্র‍্যান্ড একাউন্টের নিয়ন্ত্রণ আপনি আপনার একাধিক জিমেইল এ রাখতে পারবেন। এক্ষেত্রে অবশ্যই একটি জিমেইল হ্যাক হওয়া যতটা সহজ একাধিক জিমেইল হ্যাক হওয়া ততোটা সহজ না।

নিরাপত্তা ছাড়া অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা উভয় চ্যানেল এই সমান। আপনি যদি আমাকে ব্যাক্তিগত ভাবে জিজ্ঞেস করেন কোন চ্যানেল খোলা ইচিত?

সেক্ষেত্রে আমি নিরাপত্তার কথা ভেবে অন্তত ব্র‍্যান্ড চ্যানেল খোলারই উপদেশ দিবো। তবে আপনি যে চ্যানেল ই খুলেন না কেন, আপনার প্রধান উদ্দ্যেশ্য হওয়া উচিত মানসম্মত ভিডিও বানিয়ে সেগুলো আপলোড করা।

ভালো ভিডিও এর জন্যই মূলত একটি চ্যানেল ভালো চ্যানেল হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।

ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম । কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল খুলবো

মোবাইল দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম (জিমেইল এ পুরাতন চ্যানেল না থাকলে)

আপনি কি মোবাইল দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল খুলতে চান? আপনার উত্তর যদি হয় হ্যাঁ তাহলে আপনি খুব সহজেই মোবাইলে ইউটিউব চ্যানেল খোলতে পারেন।

এক্ষেত্রে আপনি এখনি সহজ কয়েকটি ধাপে খুলে নিতে পারেন আপনার নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল। মোবাইল থেকে ইউটিউব চ্যানেল খুলতে সহজ ধাপগুলি হচ্ছেঃ

  • সর্বপ্রথম ডাউনলোড করুন ইউটিউব অ্যাপ
  • তারপর প্রবেশ করুন সেই অ্যাপটিতে
  • সর্ব উপরের মেন্যু এর ডান কর্নার থেকে আপনার প্রোফাইল পিকচারে ক্লিক করুন
ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম
  • এবার সিলেক্ট করুন My Channel
  • তারপর আপনার পছন্দমতো চ্যানেল এর নাম দিয়ে Create Channel চাপুন
ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম
  • যথেষ্ট! তৈরী হয়ে যাবে আপনার Youtube Channel

আরও জানুনঃ গুগল একাউন্ট খোলার নিয়ম

মোবাইল দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম (জিমেইল এ পুরাতন চ্যানেল থাকলে)

আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোন এর জিমেইল এ একটা ইউটিউব চ্যানেল আগে থেকেই খোলা রয়েছে। কিন্তু আপনি মোবাইল থেকে আরও একটি নতুন চ্যানেল খুলতে চান।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে জিমেইলে পুরাতন চ্যানেল থাকা সত্ত্বেও নতুন করে কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল খুলবো ? এক্ষেত্রে আপনাকে যা যা করতে হবেঃ

  • সর্বপ্রথম ওপেন করুন আপনার ফোনের Chrome ব্রাউজার।
  • এরপর প্রবেশ করুন youtube.com/account এই লিকে।
  • এবার থ্রি-ডট মেন্যু থেকে স্টার্ট করুন Desktop Mode
  • আগে থেকে জিমেইল সাইন-ইন করা নাও থাকলে পারে। এক্ষেত্রে জিমেইল একাউন্টে সাইন-ইন করুন।
  • তারপর সিলেক্ট করুন Add or manage your channel(s) এই লিংকটি।
  • তারপর সিলেক্ট করুন Create a channel এই লিংকটি।
  • তারপর আপনার পছন্দমতো চ্যানেল এর নাম দিয়ে Create Channel চাপুন।

কম্পিউটার থেকে ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম (জিমেইল এ পুরাতন চ্যানেল না থাকলে)

সবচেয়ে সহজ ও সঠিক ভাবে ইউটিউব চ্যানেল খোলার জন্য কম্পিউটার বেস্ট। আপনার যদি একটি ল্যাপটপ বা ডেক্সটপ কম্পিউটার থাকে তাহলে এখনি খুলে নিতে পারেন নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল।

আপনার কম্পিউটারে থাকা জিমেইল একাউন্টে ইতিমধ্যে ইউটিউব চ্যানেল খোলা না থাকলে, কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল খুলবো ? এক্ষেত্রে নতুন একটি চ্যানেল খোলার জন্য আপনাকে যা যা করতে হবেঃ

  • সর্বপ্রথম যেকোনো ব্রাউজার থেকে প্রবেশ করুন youtube.com এ।
  • আগে থেকে জিমেইল সাইন-ইন করা নাও থাকলে পারে। এক্ষেত্রে জিমেইল একাউন্টে সাইন-ইন করুন।
  • এবার ক্লিক করুন টপ রাইট কর্নারে থাকা প্রোফাইল আইকনে।
  • এবার ক্লিক করুন My Channel লিংক এ।
  • তারপর আপনার পছন্দমতো চ্যানেল এর নাম দিয়ে Create Channel চাপুন।
  • যথেষ্ট! উপরোক্ত পদ্ধতি সঠিকভাবে অনুসরণ করলে তৈরী হয়ে যাবে আপনার Youtube Channel

কম্পিউটার থেকে ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম (জিমেইল এ পুরাতন চ্যানেল থাকলে)

আপনার কম্পিউটারে থাকা জিমেইলে আগে থেকেই একটি ইউটিউব চ্যানেল খোলা রয়েছে। তবে আপনার প্রশ্ন যদি হয়ে থাকে চ্যানেল থাকা সত্বেও পুনরায় কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল খুলবো ? সেক্ষেত্রে আপনাকে যা যা করতে হবেঃ

  • সর্বপ্রথম কম্পিউটারের যেকোনো ব্রাউজার থেকে প্রবেশ করুন youtube.com/account এ।
  • আগে থেকে জিমেইল সাইন-ইন করা নাও থাকলে পারে। এক্ষেত্রে জিমেইল একাউন্টে সাইন-ইন করুন।
  • এবার ক্লিক করুন Add or manage your channel(s) এই লিংকে।
  • তারপর ক্লিক করুন Create a channel এই লিংকে।
  • তারপর আপনার পছন্দমতো চ্যানেল এর নাম দিয়ে Create Channel চাপুন।
  • যথেষ্ট! উপরোক্ত পদ্ধতি সঠিকভাবে অনুসরণ করলে তৈরী হয়ে যাবে আপনার Youtube Channel

ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফাই করার নিয়ম

উপরের পদ্ধতিগুলো সঠিকভাবে অনুসরণ করলে খুব সহজেই আপনি ইউটিউব চ্যানেল খুলতে পারবেন। আর একটি ইউটিউব চ্যানেল খোলার পরই তা ভেরিফাই করতে হয়। কারণ ফোন নাম্বার দিয়ে ভেরিফাই করার আগ পর্যন্ত নিম্নোক্ত ফিচারগুলো লক অবস্থায় থাকে।

  • ১৫মিনিটের চেয়ে বড় ভিডিও আপলোড ফিচার
  • কাস্টম থাম্বনেইল ফিচার
  • লাইভস্ট্রিমিং ফিচার
  • কনটেন্ট আইডি ক্লেইম আপিল ফিচার ইত্যাদি।

তবে কেবলমাত্র আপনার মোবাইল নাম্বারটি ব্যবহার করেই এখনই ভেরিফাই করে নিতে পারেন আপনার ইউটিউব চ্যানেল। ইউটিউব ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফাই করার নিয়মঃ

  • সর্বপ্রথম কম্পিউটারের যেকোনো ব্রাউজার থেকে প্রবেশ করুন studio.youtube.com এই লিংকে।
  • আগে থেকে ইউটিউব চ্যানেলে লগিন করা নাও থাকতে পারে। এক্ষেত্রে জিমেইল আইডি দিয়ে লগিন করুন।
  • এবার বামদিকের মেন্যু থেকে ক্লিক করুন Settings এ।
  • তারপর সিলেক্ট করুন Channel ট্যাব।
  • এবার করুন Verify Phone Number এই লিংকে।
  • তারপর সিলেক্ট করুন Text me the verification code এই লিংকটি।
  • এবার সিলেক্ট করুন আপনার নিজের দেশ। ক্লিক করুন Select your country লিংকে।
  • তারপর নিচের ফোন নাম্বার বক্সে দিন আপনার ফোন নাম্বার। ফোন নাম্বার দিয়ে ক্লিক করুন Get Code এই লিংকে।
  • সাথে সাথে আপনার ফোনে চলে আসবে ৬ডিজিটের একটি কোড। সেই কোডটি প্রদান করুন এবং ক্লিক করুন Submit লিংক এ।

অভিনন্দন আপনাকে! এতক্ষণে আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি ভেরিফাই হয়ে যাওয়ার কথা। একটি ভেরিফাইড ইউটিউব চ্যানেল এর সকল ফিচার আপনি এখন উপভোগ করতে পারবেন নিজের চ্যানেলেই।

ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করার নিয়ম

আপনার যেহেতু ইউটিউব চ্যানেল খোলার কাজ শেষ ই হয়ে গেলো এবার পালা ইউটিউব ভিডিও আপলোড করার৷

অত্যন্ত সহজ ভাবে মোবাইল ও কম্পিউটারের মাধ্যমে ভিডিও আপলোড করার জন্য আপনাকে যা যা করতে হবেঃ

মোবাইল থেকে ইউটিউব ভিডিও আপলোড করার নিয়মঃ

আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোনটিতে নেট কানেকশন থাকলে খুব সহজেই ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও আপলোড করতে পারবেন। মোবাইল থেকে ইউটিউব ভিডিও আপলোড করার জন্য যা যা করতে হবেঃ

  • প্রথমে প্রবেশ করুন Youtube App এ।
  • বটম মেন্যু থেকে ক্লিক করুন প্লাস চিন্হিত আইকনে।
  • সিলেক্ট করুন Upload A Video অপশনটি।
  • তারপর নির্বাচন করুন সেই ভিডিও যেটি আপনি আপলোড করতে চান। ক্লিক করুন select files to upload এই অপশনে।
  • এবার প্রদান করুন সুন্দর একটি ভিডিও টাইটেল, ডেসক্রিপশন ইত্যাদি তথ্য ।
  • এরপর চাপুন Upload অপশনটি।
  • অপেক্ষা করুন কিছু সময়। অল্প সময়ের মধ্যেই আপলোড হয়ে যাবে আপনার ভিডিও।

কম্পিউটার থেকে ইউটিউব ভিডিও আপলোড করার নিয়মঃ

মোবাইল থেকে ভিডিও আপলোড করাও যেমন সহজ, কম্পিউটার থেকে ভিডিও আপলোড করার তেমন সহজ। কম্পিউটার থেকে ইউটিউব ভিডিও আপলোড করতে আপনাকে যা যা করতে হবেঃ

  • সর্বপ্রথম প্রবেশ করুন youtube.com এই লিংকে।
  • আগে থেকে সাইনইন করা নাও থাকতে পারে এক্ষেত্রে প্রথমে জিমেইল আইডি দিয়ে সাইন-ইন করুন।
  • এবার ক্লিক করুন টপ বারে থাকা ভিডিও আইকনে।
  • তারপর ক্লিক করুন Upload Video অপশন টিতে।
  • তারপর নির্বাচন করুন সেই ভিডিও যেটি আপনি আপলোড করতে চান। ক্লিক করুন select files to upload এই অপশনে।
  • এবার প্রদান করুন সুন্দর একটি ভিডিও টাইটেল, ডেসক্রিপশন ইত্যাদি তথ্য।
  • আপনি চাইলে ভিডিও তে কোনো এন্ড কার্ড বা ওভারলে দিতে পারেন। এক্ষেত্রে তা সিলেক্ট করে Next চাপুন।
  • এরপর সিলেক্ট ভিডিও এর প্রাইভেসি সেটিংস। ক্লিক করুন Next লিংকে।
  • সবশেষে আপনার আপলোড করা ভিডিওর কোনো কপিরাইট ইসু থাকলে তা এখানেই দেখানো হবে।

বর্ণিত সকল ধাপ সফলভাবে সম্পন্ন হলে আপনার ভিডিও ইউটিউবে আপলোড হবে ও আপনাকে একটি ভিডিও শেয়ার এর লিংক দেওয়া হবে।

ইউটিউব চ্যানেল এ ভিউ ও সাবস্ক্রাইবার বাড়ানোর টিপস

আপনি যেহেতু নতুন ইউটিউব চ্যানেল খুলেছেন এবং নতুন নতুন ভিডিও আপলোড করছেন সেহেতু এই মুহূর্তে আপনার প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত ভিউ ও সাবস্ক্রাইবার বাড়ানো।

কারন ভিউ যত বাড়বে আপনার চ্যানেল এর ওয়াচ-টাইম ততো বাড়বে। এবং চ্যানেল এর ওয়াচ টাইম বাড়তে বাড়তেই তো একসময় আপনার ইনকাম শুরু হবে।

এজন্যই চ্যানেল এর ভিও ও সাবস্ক্রাইবার বাড়াতে আপনাকে ধৈর্য ধরে নিম্নোক্ত টিপস গুলো অনুসরণ করতে হবেঃ

  • প্রত্যেকটি ভিডিও একদম সুন্দর করে এডিট করার চেষ্টা করুন।
  • তবে এডিটিং এর ক্ষেত্রে শুরুর দিকে আপনি ব্যবহার করুন সহজ একটি ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার যাতে আপনার এডিটিং প্রসেস হয় অনেক সহজ ও দ্রুত।
  • আগামী এক মাস আপনি কি কি ভিডিও আপলোড করবেন তার একটি অগ্রীম পরিকল্পনা করুন। যাতে নিয়মিত আপলোড বিগ্নিত না হয়।
  • আপনি যে ক্যাটাগরিতে ভিডিও বানান, খেয়াল রাখুন সেই ক্যাটাগরিতে আর কে কে ভালো কন্টেন্ট তৈরি করছে। তাদের ভালো কন্টেন্ট গুলো আপনি নিজে মতো করে পুনরায় বানাতে পারেন।
  • প্রতিটি ভিডিও এর জন্য সুন্দর একটি টাইটেল ব্যবহার করুন। এমন টাইটেল ব্যবহার করুন যা দেখলে ভিওয়ারস রা ক্লিক দিতে পারে।
  • প্রত্যেকটি ভিডিও এর বিভিন্ন তথ্য এসইও এর জন্য সর্বোচ্চ অপটিমাইজ করুন।
  • বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া নিজের একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করুন। তারপর তা ধীরে ধীরে কাজে লাগান।
  • ভিওয়ারদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখুন। আপনার ভিডিওতে করা তাদের কমেন্টস গুলো নিয়মিত পড়ুন এবং রিপ্লাই দিন।
  • গুরুত্বপূর্ণ কমেন্টগুলো আলাদা করুন। তারপর সে অনুযায়ী কন্টেন্ট, কন্টেন্ট টপিক ইত্যাদি উন্নত করার চেষ্টা করুন।
  • তাছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্য নিয়ে সময় উপযোগী কন্টেন্ট বা ট্রেন্ডিং কনটেন্ট বানানোর চেষ্টা করুন।
  • ইউটিউবিং এ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ধৈর্য ধারন করা। অনেকেই খারাপ কমেন্ট করবে। এসব নিয়ে ভাবার দরকাদ নেই। আপনি আপনার মতো করে ভালো কন্টেন্ট আপলোড করতে থাকুন। যারা দেখার তারা দেখলেই হলো।
  • সপ্তাহে অন্তত ১-২ ভিডিও নিয়মিত আপলোড করুন।

প্রিয় ভিজিটর, আপনি জানলেন কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল খুলবো অথবা ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম । কেমন লাগলো আমাদের ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম সংক্ত্রান্ত আজকের আরটিক্যাল? জানাতে পারেন কমেন্ট করে।

You may also like

Leave a Comment