এলোভেরার উপকারিতা, রূপচর্চা, এলোভেরা খাওয়ার নিয়ম, জুস, চাষ

by Taslima Lima

আমাদের কাছে খুব পরিচিত একটি নাম হচ্ছে এলোভেরা বা ঘৃতকুমারী। এলোভেরা একটি আয়ুর্বেদিক ওষুধ। রূপচর্চা থেকে শুরু করে রোগ নিবারণের এলোভেরার ব্যবহার লক্ষ্য করা যায় ব্যপকভাবে।

প্রিয় ভিজিটর, আজকের আরটিক্যাল এ আমরা এলোভেরার ব্যাপারেই জানবো। আজ আমরা জানবো এলোভেরার উপকারিতা, এলোভেরা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়, এলোভেরা ব্যবহার করে কীভাবে চুলের যত্ন করা যায়। আরো জানবো কোন মাটিতে কিভাবে এলোভেরা চাষ করা যায়, এলোভেরা চারা কোথায় কিনতে পাওয়া যায় ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত।

আসুন তাহলে আজকের আর্টিকেলে জেনে নেওয়া যাক এলোভেরা সম্পর্কে বিস্তারিত।

এলোভেরা কি?

Aloe Vera (অ্যালোভেরা) বাংলা অর্থ ঘৃতকুমারী। আমাদের কাছে এর পরিচিত নাম হচ্ছে এলোভেরা। এলোভেরা একটি রসালো প্রজাতির উদ্ভিদ। রূপচর্চার সর্বপ্রথম শিখরে আছে এলোভেরা। ছোট বড় সব বয়সের মানুষই এলোভেরা ব্যবহার করতে পারে নির্দ্বিধায়। কিশোরীদের রূপচর্চা ও চুল চর্চায় এলোভেরার গুরুত্ব অপরিসীম। এলোভেরা গাছ দেখতে অনেকটা ফনিমনসা গাছের মতো। আর এটির প্রথম সন্ধান পাওয়া যায় মিশরে প্রায় ছয় হাজার বছর আগে।

এলোভেরার গুনাগুন

আপনি হয়তো অনেকটা অবাক হবেন এলোভেরা বা ঘৃতকুমারীর গুনাগুন সম্পর্কে জেনে। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট এর তথ্য মতে জানা যায় প্রায় ৭৫ টি উপাদান রয়েছে এলোভেরাতে।এদের মধ্যে ভিটামিন, এনাইজম, খনিজ, সুগার, স্যাপোনিনস, অ্যামিনো অ্যাসিড, স্যালিসিলিক অ্যাসিড, এছাড়াও এতে ভিটামিন বি ১২, ফলিক অ্যাসিড এবং কোলিন রয়েছে।

এলোভেরার উপকারিতা, ব্যবহার ও খাওয়ার নিয়ম

প্রাচীনকাল থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত মেয়েদের রূপচর্চার অন্যতম গাইডলাইন হচ্ছে এলোভেরা। শুধুমাত্র সৌন্দর্য রক্ষায় এলোভেরার ব্যবহার করা হয় না, এর পাশাপাশি নানান রোগের ঔষধ হিসেবে এলোভেরা ব্যবহার করা হয়। চলুন এপর্যায়ে জেনে নেওয়া যাক এলোভেরার নানান উপকারিতা, এলোভেরা খাওয়া বা ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত।

১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি

এলোভেরা দেহের ভিতর রোগ নিরাময়ে সক্ষম। অনেক গবেষক বলেছেন এটি খেলে শরীরের ক্লান্তি দূর হয় এবং শরীর সতেজ থাকে। হৃদ রোগের ক্ষেত্রে কাঁচা এলোভেরার জুস অনেক কার্যকরী একটি উপাদান। এলোভেরার ভিতরে এমন কিছু ভিটামিন রয়েছে যা খেলে পুষ্টির ঘাটতি এবং ভিটামিনের ঘাটতি নিমেষে দূর হয়ে যায়। এর ভিতরে থাকা ভিটামিন ও খনিজ উপাদান আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

২. হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি

হজম ক্ষমতা কম থাকা অতি সাধারণ একটি সমস্যা। ছোট-বড় সবারই প্রায় এই সমস্যা হয়ে থাকে। এর সাথে দেখা দেয় আরো নানা ধরনের রোগ।
তবে হজমের সমস্যায় এলোভেরা অত্যন্ত কার্যকরী। আপনি যদি নিয়মিত অ্যালোভেরার জুস পান করেন, তাহলে বৃদ্ধি পাবে আপনার হজম ক্ষমতা। আর আপনি পাবেন শক্তিশালী পরিপাক তন্ত্র।
তাছাড়াও পেটে থাকা ক্ষতিকর কৃমি সহজেই ধংস করে অ্যালোভেরা।

৩. ফেসওয়াশ হিসেবে এলোভেরা ব্যবহার

আপনি কি চাচ্ছেন উজ্জ্বল ও ফ্রেশ স্কিন? ফেসওয়াশ ব্যবহারেও সুফল পাচ্ছেন না? আপনার উত্তর যদি হয় হ্যা, তাহলে আপনার জন্য রয়েছে অ্যালোভেরার জেল। এটি ব্যবহাতে আপনি ফিরে পাবেন ত্বকের উজ্জলতা আর ফ্রেশনেস।

এক্ষেত্রে প্রথমে হাতের আঙুলে কিছুটা জেল নিয়ে নিন। তারপর আলতোভাবে মুখের স্কিনে লাগিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর মুখ ভালো করে ধুয়ে নিন।

৪. স্কিন টোনার হিসেবে

আপনি কি ফর্সা বা উজ্জ্বল ত্বক পেতে চান? চাইলে ব্যবহার করতে পারেন অ্যালোভেরার তৈরি স্কিন টোনার। এটি ব্যবহারে আপনার মুখ যেমন হবে ফর্সা তেমনি হবে উজ্জ্বল।

এক্ষেত্রে প্রথমে আপনাকে স্কিন টোনার-টি তৈরি করে নিতে হবে। প্রথমে আপনি দুই চামচ পানি এবং একচামচ এলোভেরা জেল নিন। এবার উপাদান দুটিকে একটি বোতলে ঢালুন। তারপর বোতলের মুখ বন্ধ করে ফ্রিজে সংরক্ষণ করুন। ব্যবহারের সময় বোতলটি ভালো ভাবে ঝাকিয়ে দিন।

৫. পোকা মাকড়ের কামড়ের চিকিৎসায়

প্রায়ই আমরা পোকামাকড়ের কামড়ে আক্রান্ত হয়ে পড়ি। আর পোকামাকড়ের কামড় মানেই প্রচন্ড জ্বালা পোড়া। তবে জ্বালাপোড়া কমাতে ব্যবহার করতে পারেন অ্যালোভেরা জেল। এটিতে থাকা প্রাকৃতিক উপাদান খুব সহজেই জ্বালাপোড়া কমাতে পারে।

এক্ষেত্রে প্রথমে আক্রান্ত স্থান স্যাভলন ও পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নিন। তারপর স্থানটি তোয়ালে দিয়ে মুছে নিন। তারপর পরিমাণমতো এলোভেরা জেল নিয়ে আক্তান্ত স্থানে লাগিয়ে নিন। এবার 15 থেকে 20 মিনিট অপেক্ষা করুন। দ্রুত জ্বালাপোড়া কমে যাবে ইনশাআল্লাহ।

৬. চুলের যত্নে এলোভেরা

আপনি কি পেতে চান ঘন, কালো, মশৃন ও ঝরঝরে চুল? চুলের যত্নে এলোভেরার রয়েছে বেশ সুনাম। এটি ব্যবহারে আপনার চুল হবে ঘন, কালো, মশৃন ও ঝরঝরে।

চুল পরিষ্কার করতে ব্যবহার করতে পারেন অ্যালোভেরা জেল। এতে আপনার চুল হবে ঝলমলে পরিষ্কার।

তাছাড়াও এলোভেরা আপনার চুলকে যোগাবে দ্বিগুণ পুষ্টি। তাছাড়াও এলোভেরা আপনার চুলকে যোগাবে দ্বিগুণ পুষ্টি। সবচেয়ে ভালো ফলাফল পেতে আপনি ব্যবহার করতে পারেন একটি কার্যকরী মিশ্রন। জেনে নিন মিশ্রণ তৈরির নিয়মঃ

মিশ্রন তৈরিতে যা যা লাগবেঃ

  • মুলতানি মাটি ১ চা চামচ।
  • আমলকীর রস ১ চা চামচ। (আপনার নিকটস্ত বাজারেই কিনতে পাবেন)
  • মধু ১ চা চামচ।
  • ডিম ১ টি।
  • এলোভেরা জেল ১ চা চামচ।

সবগুলো উপাদান একসাথে মিশিয়ে একটি মিশ্রন তৈরি করুন। তারপর এই মিশ্রন সপ্তাহে এক দিন চুলে ব্যবহার করুন। অল্প দিনেই ভালো ফলাফল পাবেন ইনশাআল্লাহ।

৭. জ্বালাপোড়া কমতে

জ্বালাপোড়া কমাতে চমৎকার ভাবে কাজ করে এলোভেরা৷ তাছাড়া চুলকানি, লালচে ভাব এবং সংক্রমণ প্রতিরোধেও ভালো কাজ করে এটি।

২০১৩ সালে ৫০ জন মানুষের উপর একটি সমীক্ষা চালানো হয়েছিল।সেই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে আংশিক জ্বালাপোড়ার চিকিৎসায় সিলভার সালফাদিয়াজাইন ক্রমের তুলনায় ভালো ফলাফল পাওয়া যায় এলোভেরা ব্যবহারে। আর এই তথ্য নিশ্চিত করে ন্যাশনাল লাইব্রেরী অভ মেডিসিন।

তাছাড়া পোড়া জনিত ক্ষত সারাতেও বেশ কার্যকরী ভুমিকা পালন করে এলোভেরা। এক্ষেত্রে পোড়া স্থানে এলোভেরার উপরে থাকা ছাল তুলে নিন। তারপর ভিতরের পিচ্ছিল অংশ দিয়ে ক্ষত স্থানে আস্তে আস্ত ঘষে লাগিয়ে রাখুন।

এলোভেরা শরবত বা জুস বানানোর নিয়ম

আপনার তৃষ্ণা মেটাতে এলোভেরা জুস হতে পারে সেরা একটি শরবত। আর আপনি চাইলে এটি পান করতে পারেন নিজে নিজে বানিয়েই। চলুন জেনে নেওয়া যাক বাসায় নিজে নিজে স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে এলোভেরা জুস বা শরবত বানানোর সহজ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত।

পুষ্টিকর এলোভেরা জুস বানাতে আপনার যা যা প্রয়োজন পড়বে

  • ১ বা ২ টি এলোভেরা পাতা (স্বাদ মতো)
  • ২ টেবিল চামচ লেবুর রস
  • ১ বা ২ টেবিল চামচ মধু (স্বাদ মতো)
  • ১ চা চামচ গুড় (না থাকলে চিনি)। তবে গুড় অথবা চিনি পরিমানে কম নেওয়াই ভালো।
  • প্রয়োজন মতো ঠাণ্ডা পানি
  • আধা চা চামচ কালো জিরা
  • পরিমাণ মতো লবন বা বিট লবন।

এলোভেরা জুস বানানোর পদ্ধতি

  • প্রথমে এলোভেরা পাতার নিচের অংশ কেটে হলুদ কষ ঝরিয়ে নিন।
  • তারপর প্রতিটি পাতাকে দুই ভাগে ভাগ করে নিন।
  • এবার একপাশ থেকে সবুজ আবরন তুলে চামচের সাহায্যে জেল আলাদা করে নিন। তারপর জেল টকু একটি পরিষ্কার পাত্রে রাখুন।
  • এই জেলের মধ্য পরিমানতো লেবুর রস, মধু, গুড় বা চিনি, ঠাণ্ডা পানি, কালোজিরা, লবন ইত্যাদি উপাদান পরিমান মতো নিন।
  • তারপর সবগুলো উপাদানকে একসাথে ব্লেন্ডারে সাহায্যে বেন্ড করে নিন।

এভাবে আপনি বাসায় এলোভেরা শরবত বা জুস বানিয়ে ফেলতে পারেন।

এলোভেরা চাষ

বাজারে এলোভেরার রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। ফলে এলোভেরা বিক্রির মাধ্যমে লাভ করা যাচ্ছে অধিক মুনাফা। তাই অনেকেই এখন বাণিজ্যিকভাবে এলোভেরা চাষ করে লাভবান হচ্ছেন। দেশের বাজারে বিক্রির পাশাপাশি কেও কেও আবার রপ্তানি করছেন বিদেশেও। ফলে লাভ করা যাচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রা। এলোভেরা চাষ করে লাভবান হতে পারেন আপনিও। বাড়ির আঙিনায় অথবা ফসলি জমিতে খুব সহজেই চাষ করতে পারেন এলোভেরা। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক এলোভেরা চাষ পদ্ধতি, জমি তৈরি, চারা রোপণ, পরিচর্যা ও অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত।

১. মাটি নির্বাচন

এলোভেরা চাষ করা যায় বাংলাদেশের প্রায় সব মাটিতেই। তবে সবচেয়ে বেশি উপযোগী হচ্ছে দোআঁশ বা বেলে দোআঁশ মাটি। তবে লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে এমন জমি নির্বাচন করুন যে জমিতে পানি না জমে। অর্থাৎ এলোভেরা চাষের জমিটি হতে হবে সুনিষ্কাশিত উঁচু জমি। তাছাড়াও মনে রাখবেন ছায়াযুক্ত জমি এলোভেরার জন্য উপযোগি নয়। কারণ ছায়াতে এলোভেরার ফলন ভালো হয় না। এজন্যই নির্বাচন করুন এমন জমি যে জমিতে রোদ থাকে সারাদিন।

২. এলোভেরা চাষের জন্য জমি যেভাবে তৈরি করবেন

জমি নির্বাচন করে ফেলেছেন? এবার আপনাকে নির্বাচিত জমিটি করে তুলতে হবে চাষের উপযোগী। সঠিকভাবে জমিকে চাষের উপযোগী করে তুলতে আপনাকে যা যা করতে হবেঃ

  • প্রথমে চাষের জমিটি পরিষ্কার করুন ভালোভাবে। অর্থাৎ জমিতে কোন আগাছা কিংবা ঘাস থাকলে তা ছাঁটাই করুন।
  • এবার আপনার সার প্রয়োগের পালা। এক্ষেত্রে প্রতি ১ হেক্টর জমিতে গোবর সার মিশান ১০ থেকে ১৫ টন, টিএসপি সার মিশান ২৫০ কেজি, এমওপি সার মিশান ৮০ থেকে ১০০ কেজি।
  • সার প্রয়োগের পরে বেড তৈরির পালা। প্রথমে ট্রাক্টরের সাহায্যে জমিটি চাষ করে নিন। এবার চাষ করা মাটি টেনে বেড তৈরি করুন। এ ক্ষেত্রে প্রতিটি বেডকে রাখুন দেড় থেকে আড়াই মিটার চওড়া।
  • তারপর প্রতিটি বেডের মাঝে নালা তৈরি করুন। লক্ষ্য রাখুন নালাগুলোর প্রস্থ যেন হয় ৮০ সেমি।

৩. চারা রোপণের নিয়ম

এলোভেরা চাষে ভালো ফলন পেতে নিচের নিয়মে চারা রোপন করুন।

  • প্রথমে পুরনো গাছের গোড়া থেকে গজানো নতুন চারা পৃথক করুন।
  • এরপর একখন্ড জমিতে বীজতলা প্রস্তুত করুন।
  • বীজতলায় নতুন চারাগুলোকে লাগিয়ে দুই তিন মাস লালন পালন করুন।
  • দুই তিন মাস লালন পালন করার পর মূল জমিতে রোপণ করুন।
  • রোপন করার পর ৫ থেকে ৬ মাস অপেক্ষা করে পাতা তোলা শুরু করুন।

তবে আপনি কিন্তু রুট সাকারও কিনতে পারেন। তাছাড়াও পুরনো গাছের মোথা কেটে সেই গাছও লাগাতে পারেন।

কোথায় এলোভেরা চারা কিনতে পাওয়া যায়?

এলোভেরার চারা কিনতে পারেন আপনার নিজের এলাকাতেই । আপনার এলাকার সামাজিক বনায়ন নার্সারি ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, সামাজিক বনায়ন বাগান কেন্দ্র ইত্যাদি থেকে সংগ্রহ করতে পারেন এলোভেরার চারা। তাছাড়াও আপনার এলাকায় খুঁজে বের করতে পারেন পুরাতন এলোভেরার চাষ। তাদের কাছ থেকেও কিনে নিতে পারেন এলোভেরার চারা।

৪. কোন সময়ে এলোভেরা চারা রোপন করা উচিত?

চারা রোপণের সবচেয়ে উত্তম সময় হচ্ছে জুন কিংবা আষাঢ় মাস। এ মাসে চারা রোপণ করলে ফলন পাওয়া যায় সবচেয়ে ভালো। তাছাড়া রা বৃদ্ধিরও পায় দ্রুত।

শীতকালে এলোভেরার পাতার চাহিদা থাকে না বললেই চলে। তাই এই সময়ে চাষিরা বিরত থাকে পাতা সংগ্রহ থেকে। আর এই সুযোগে গাছ বড় হয় এবং বসন্তের শুরুতে নতুন পাতা গজাতে শুরু করে। তাই অনেক চাষীরা চারা লাগিয়ে থাকে কার্তিক ও অগ্রাহয় মাসে।

৫. সার প্রয়োগের নিয়ম

একটি এলোভেরা গাছ জীবিত থাকে দুই বছর পর্যন্ত। আর এই দুই বছর সঠিক ভাবে নিতে হয় গাছের যত্ন। তাই ১ম বছরের মতো ২য় বছরও জমিতে প্রয়োগ করতে হয় সেচ। আর সার ও সেচ প্রয়োগের হার থাকে প্রথম বছরের মতোই।

৬. পাতা সংগ্রহ ও বিক্রি

প্রায় সারা বছরই সংগ্রহ করা যায় এলোভেরার পাতা। কারন 12 মাসে পাতা সংগ্রহ করা যায় 9 থেকে 10 মাস। একদিকে আপনি পুরাতন পাতা সংগ্রহ করবেন অন্যদিকে নতুন পাতা গজাবে।

বাংলাদেশে এলোভেরা পাতার রয়েছে যথেষ্ট বাজারমূল্য। ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এলোভেরা পাতার একেকটি গাইট। আর প্রত্যেকটি গাইটে থাকে মাত্র ৫০ টি এলোভেরা পাতা।

প্রতি এক বিঘা জমিতে এলোভেরা চাষ করলে বিক্রি করতে পারবেন দেড় লাখ থেকে দুই লাখ টাকায়। এজন্যই অন্যান্য ফসলের তুলনায় এলোভেরা চাষ যথেষ লাভজনক।

সর্বশেষ

প্রিয় ভিজিটর এলোভেরা অত্যন্ত উপকারী একটি উদ্ভিদ। আর এই উদ্ভিদটি ফলাতে পারেন আপনি নিজেই। এতে পূরণ হবে আপনার পরিবারের এলোভেরার চাহিদা। পাশাপাশি আপনি পাবেন বাড়তি মুনাফা। এক্ষেত্রে এলোভেরা চাষ করতে পারেন বাড়ির উঠানে, কিংবা বেলকনিতে অথবা বারান্দায়। তাছাড়াও চাষ করতে পারেন আপনার সবজি খেতের পাশে। এতে আপনি নিজেও উপকৃত হবেন, পাশাপাশি উৎসাহ পাবে আপনার একালার স্থানীয় উদ্দোক্তা রাও।

You may also like

Leave a Comment