জন্ম নিবন্ধন অনলাইন যাচাই 2022। সনদ ডাউনলোড

by Shakil Ahmed
জন্ম নিবন্ধন অনলাইন যাচাই । অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন যাচাই

আপনি কি আপনার জন্ম নিবন্ধন অনলাইন যাচাই বা জন্ম নিবন্ধন তথ্য যাচাই করতে চান? জেনে নিন সহজভাবে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সনদ যাচাই পদ্ধতি। নিজেই নিজের জন্ম নিবন্ধন যাচাই কপি প্রিন্ট করে নিন অথবা জন্ম নিবন্ধন সনদ ডাউনলোড করুন।

জন্ম নিবন্ধন খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পরিচয় পত্র। গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার অনেক কারন রয়েছে৷ তবে প্রধান কারন হচ্ছে এটিকে আপনি বিভিন্ন প্রয়োজনে জাতীয় পরিচয় পত্রের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন।

বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী কেউ 18 বছরের আগে ভোটার হতে পারেনা। 18 বছরের আগ পর্যন্ত আমাদের জন্ম নিবন্ধনই পরিচয়পত্র হিসেবে কাজ করে।

বর্তমানে জন্ম নিবন্ধন একটি জটিল বিষয় হিসেবে আমাদের মাঝে চলে আসছে। আপনি যেহেতু এই পোস্টটি পড়ছেন তাহলে আপনার হয়তো জন্ম নিবন্ধন প্রয়োজন বা জন্ম নিবন্ধন এর ঝামেলায় পড়েছেন বা পড়তে যাচ্ছেন।

তাই আমরা আজকে দেখাবো ২০২২ সালে আপনি কিভাবে নিজের জন্ম নিবন্ধন অনলাইন যাচাই করবেন। আপনাদের মাঝে হয়তো প্রশ্ন থাকতে পারে  জন্ম নিবন্ধন অনলাইন যাচাই করতে হবে কেন? আপনারই হয়তো জন্ম নিবন্ধন অনলাইন যাচাই করতে হবে কারণ এতে জানা যাবে আপনার জন্ম নিবন্ধনটি সঠিক নাকি ভুল। কিন্তু যাচাই করার নিয়ম আমরা অনেকেই জানিনা। মূলত কিভাবে একদম সহজে জন্ম নিবন্ধন অনলাইন যাচাই করতে পারেন তা নিয়ে আজকের আলোচনা।

সবটুকু পোস্ট মনোযোগ দিয়ে পড়লে ব্যাপারটি আপনার কাছে একদম পানির মত সহজ মনে হবে। আমরা আজকে ধাপে ধাপে জন্ম নিবন্ধন অনলাইন যাচাই প্রক্রিয়া জানাব। আরও জানবোঃ জন্ম নিবন্ধন সনদ ডাউনলোড পদ্ধতি।

জন্ম নিবন্ধন অনলাইন যাচাই 2022

জন্ম নিবন্ধন যাচাই করা খুব কঠিন একটা কাজ নয়। এই কাজ এখন আপনি নিজেই করতে পারবেন। এর জন্য আপনার প্রয়োজন হবেঃ

  • জন্ম নিবন্ধন নম্বর
  • জন্ম তারিখ

জন্ম নিবন্ধন অনলাইন যাচাই করতে হলে আপনাকে জন্ম নিবন্ধন রেজিস্টার ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে হবে। আপনি কিভাবে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করবেন  এজন্য আপনাকে দুটি ধাপ অনুসরণ করতে হবে

ধাপ ১ঃ প্রথমে নিচের লিংকে প্রবেশ করুন ।

জন্ম নিবন্ধন সনদ ডাউনলোড । জন্ম নিবন্ধন সনদ যাচাই

ধাপ ২ঃ উপরের লিংকে প্রবেশ করলে আপনার সামনে এমন একটি পেজ আসবে। উপরের লাল চিহ্নিত ১ম অংশে আপনার জন্ম নিবন্ধন নাম্বার দিন এবং ২য় ঘরে আপনার জন্ম তারিখ দিন। জন্ম তারিখ দিতে হবে ( দিন-মাস-সাল) এই ফরমেটে। তারপর অনুসন্ধানক্লিক করুন । আপনার সব কিছু ঠিক থাকলে সিটিজেন টাইমলাইন এ আপনার তথ্য দেখাবে। আশা করি আপনি সফলভাবে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করতে সক্ষম হয়েছেন

জন্ম নিবন্ধন যাচাই কপি বা জন্ম নিবন্ধন সনদ ডাউনলোড

উপরের ধাপগুলো যদি আপনি অনুসরণ করে থাকেন তাহলে এতক্ষণে হয়তো জন্ম নিবন্ধন যাচাই করা শিখে গেছেন।

এখন যদি আপনি জন্ম নিবন্ধন যাচাই কপি প্রিন্ট করতে চান। তাহলে আপনাকে যাচাই কপি প্রিন্ট অপশনে যেতে হবে। এক্ষেত্রে ctrl+p চাপলে প্রিন্ট অপশন চলে আসবে। তারপরই আপনি প্রিন্ট করতে পারবেন জন্ম নিবন্ধন যাচাই কপি ।

এছাড়াও আপনি কম্পিউটার এর ডিফল্ট sniping tool ব্যবহার করে screen shoot নিয়ে আপনার যতটুকু অংশ প্রয়োজন ঠিক ততটুকু অংশ প্রিন্ট করতে পারেন।

জন্ম নিবন্ধন তথ্য যাচাই 2022

আমরা এতক্ষণ জানলাম অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করার নিয়ম বা জন্ম নিবন্ধন যাচাই কপি সংগ্রহের পদ্ধতি।

অনেকসময় আমাদের জন্ম নিবন্ধন তথ্য যাচাই করা জরুরি হয়ে দাঁড়ায়। জেনে নিন আপনার নিজের বা প্রিয়জনের জন্ম নিবন্ধনের তথ্য সঠিক আছে কিনা?

আজকাল ভুয়া জন্ম সনদের ব্যবহার অনেক বেড়ে গেছে। একজনের জন্মসনদ অন্যজনের নামে চালিয়ে দিচ্ছে একটি চক্র। তাই আপনার হাতে যে জন্ম সনদটি আছে সে জন্ম সনদের মালিক আপনি কিনা সেটা যাচাই করে ভেরিফাই করুন।

জেনে নিন সবচেয়ে সহজ কয়েকটি ধাপে জন্ম নিবন্ধন তথ্য যাচাই করার পদ্ধতি।

ধাপ ১ঃ নিচের লিংকে প্রবেশ করুন

জন্ম নিবন্ধন যাচাই কপি । জন্ম নিবন্ধন অনলাইন যাচাই

ধাপ ২ঃ উপরের ঘরে ১৭ সংখ্যার জন্ম নিবন্ধন নাম্বার সতর্কতার সাথে লিখুন।

ধাপ ৩ঃ পরবর্তী ঘরে আপনার জন্ম তারিখ বসান। এক্ষেত্রে প্রথমে জন্ম সাল পরে মাস ও শেষে দিন বসান। যেমন- ২০০৩-১২-৩১ ।

ধাপ ৪ঃ সর্বশেষ ঘরে আপনার সামনে যে সিকুউরিটি কোড টি প্রদর্শন করবে সেটিকে যোগ অথবা বিয়োগ করে বসাবেন। আমার ক্ষেত্রে যোগ আসলে আপনার ক্ষেত্রে বিয়োগও আসতে পারে। সিকুউরিটি কোডটি বসানোর পর SEARCH অথবা অনুসন্ধান বাটনে ক্লিক করুন ।

ধাপ ৫ঃ এখন আপনি আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদের সাথে মিলিয়ে নিন।

আরো জানুনঃ ভোটার আইডি কার্ড চেক করার উপায় ২০২২

জন্ম নিবন্ধন সনদ যাচাই ২০২২

উপরের যেই পক্রিয়ায় আপনি অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করলেন বা জন্ম নিবন্ধন যাচাই কপি প্রিন্ট করলেন একেই জন্ম নিবন্ধন সনদ যাচাই বলে।

জন্ম নিবন্ধন সংশোধন

আপনি আপনার জন্ম নিবন্ধন ভেরিফাই করার পর দেখলেন যে আপনার জন্ম নিবন্ধনে আপনার নাম অথবা পিতার নামে কিছুটা ভুল আছে বা কোন প্রকার একটা ভুল আছে।

আপনি এখন কি করবেন? সহজ ভাষায় যেটা বলা যায় তা হল সংশোধন।

অনলাইন ছাড়া সরাসরি জন্ম নিবন্ধন সংশোধন প্রকৃয়া তুলনামূলক কঠিন। এক্ষেত্রে আপনাকে বিভিন্ন ডকুমেন্ট সংগ্রহ করতে হবে। শুধু ডকুমেন্টে সংগ্রহই না চেয়ারম্যানের সাইন সহ আরো বিভিন্ন জটিল প্রক্রিয়া রয়েছে।

কিন্তু আপনি আপনি যদি জন্ম নিবন্ধন সংশোধন সহজ ভাবে করতে চান তাহলে আপনি সরাসরি আপনার ইউনিয়ন পরিষদে ডিজিটাল সেন্টারে চলে যান। আপনার উপস্থিতিতে সকল কাজ তারাই করে দিবে।

ধরুন আপনি জন্ম নিবন্ধন এর আগে তুলেছেন। আপনার তোলা জন্ম নিবন্ধনটি হাতে লিখিতও হতে পারে বা কম্পিউটারে টাইপকৃত ও হতে পারে। কিন্তু চিন্তার ব্যপার হচ্ছে আপনি অনলাইনে সার্চ দেওয়ার পর দেখলেন যে আপনার জন্ম নিবন্ধন তাদের সার্ভারে নেই।

এরকম অনেকের সাথেই হয়ে থাকে। আপনাকে জন্ম নিবন্ধন টি দিয়েছে কিন্তু তারা জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে সংযুক্ত করে নি। এখন আপনার জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে সংযুক্ত করবেন কিভাবে? এই কাজটিও তারাই করে দিবে। এক্ষেত্রে শুধু প্রয়োজন হবে আপনার বাবা মায়ের জন্ম সনদ।

এই ডকুমেন্টগুলো নিয়ে তাদের কাছে গেল, তারা https://bdris.gov.bd/br/correction এই সাইটে গিয়ে জন্ম নিবন্ধন নাম্বার ও জন্ম তারিখ দিয়ে আবেদন করে দিবে।

জন্ম নিবন্ধন সনদ ডাউনলোড ২০২২

আমাদের বিভিন্ন প্রয়োজনে অনেক সময় জন্ম নিবন্ধন সনদ ডাউনলোড জরুরি হয়ে দাঁড়ায়।

মনে করুন এই মুহুর্তে আপনার জন্ম নিবন্ধনটি আপনার জরুরী প্রয়োজন। এখন আপনার হাতের কাছে আপনার জন্ম নিবন্ধন টি নেই বা নিয়ে আসারও কোন রকম সুযোগ নেই। এই মুহূর্তে আপনি কি করবেন?

এই মুহুর্তে আপনার জন্য সবচেয়ে ভালো পরামর্শ হচ্ছে জন্মনিবন্ধনের অনলাইন কপি দিয়ে কাজ চালিয়ে দিন। তাহলে জেনে নিন জন্ম নিবন্ধন সনদ ডাউনলোড করার উপায়।

এক্ষেত্রে প্রথমে নিচের লিংকে প্রবেশ করন-

জন্ম নিবন্ধন অনলাইন কপি ডাউনলোড । জন্ম নিবন্ধন সংশোধন

উপরের ঘরে আপনার জন্ম নিবন্ধন নাম্বার নিচের ঘরে আপনার জন্ম তারিখ ও স্ক্রিনে প্রদর্শিত ভেরিফিকেশন নম্বরটি প্রদান করে Search বাটনে ক্লিক করুন।

আপনার জন্ম নিবন্ধন নাম্বার ও জন্ম তারিখ ঠিক থাকলে আপনার সামনে আপনার জন্ম নিবন্ধনের তথ্য দেখাবে। ওই পেজে Ctrl+p প্রেস করলে ওই পেজটির প্রিন্ট অপশন আসবে।

ওই পেজটি প্রিন্ট করে নিন। এটিই আপনার জন্ম নিবন্ধনের অনলাইন কপি।

জন্ম নিবন্ধন ফি

সময়ের সাথে সাথে জন্ম নিবন্ধন ফি বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। ২০২২ সালে জন্ম নিবন্ধন ফি নিন্মরুপঃ

  • শিশুর জন্মের ৪৫ দিনের মাঝে নিবন্ধন করলে কোন ফি লাগে না।
  • ৪৫ দিন থেকে ৫ বছরের মাঝে নিবন্ধন করলে ২৫ টাকা ফি লাগবে৷
  • ৫ বছরের পর নিবন্ধন করলে ফি লাগবে ৫০ টাকা।

জন্ম নিবন্ধন সংশোধন এর ক্ষেত্রে কিছু নির্দিষ্ট ফি প্রযোজ্য। জন্ম নিবন্ধন ফি সমুহ নিম্নরুপঃ

বিষয়ফিসের হার
দেশেবিদেশে
জন্ম বা মৃত্যুর ৪৫ (পঁয়তাল্লিশ) দিন পর্যন্ত কোন ব্যক্তির জন্ম বা মৃত্যু নিবন্ধনফ্রিফ্রি
জন্ম বা মৃত্যুর ৪৫ (পঁয়তাল্লিশ) দিন পর হইতে ৫ (পাঁচ) বৎসর পর্যন্ত কোন ব্যক্তির জন্ম বা মৃত্যু নিবন্ধন (সাকুল্যে)২৫/- টাকা১ মার্কিন ডলার
জন্ম বা মৃত্যুর ৫ (পাঁচ) বৎসর পর কোন ব্যক্তির জন্ম বা মৃত্যু নিবন্ধন (সাকুল্যে)৫০/- টাকা১ মার্কিন ডলার
জন্ম তারিখ সংশোধনের জন্য আবেদন ফি১০০/- টাকা২ মার্কিন ডলার
জন্ম তারিখ ব্যতীত নাম, পিতার নাম, মাতার নাম, ঠিকানা ইত্যাদি অন্যান্য তথ্য সংশোধনের জন্য আবেদন ফি৫০/- টাকা১ মার্কিন ডলার
বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় মূল সনদ বা তথ্য সংশোধনের পর সনদের কপি সরবরাহফ্রিফ্রি
বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় সনদের নকল সরবরাহ৫০/- টাকা১ মার্কিন ডলার
  • রসিদ ছাড়া নির্ধারিত কোন ফিস আদায় করা যাবে না।

প্রশ্ন: বিদেশে জন্ম হলে দেশে জন্ম নিবন্ধন করা যাবে কি?

উত্তর: জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইনের ধারা-৪ অনুসারে জন্ম বা মৃত্যু নিবন্ধন করা যায় তিন শ্রেনীর মানুষের।

  • নিবন্ধকের কার্যালয়ের অধীনে জন্ম গ্রহণকারী।
  • নিবন্ধকের কার্যালয়ের অধীনে মৃত্যু বরণকারী।
  • নিবন্ধকের কার্যালয়ের অধীনে স্থায়ীভাবে বসবাসকারী।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে বিদেশে জন্ম হলে দেশে জন্ম নিবন্ধন করা যাবে কি?

এরও উপায় রয়েছে। এক্ষেত্রে বিদেশে জন্ম গ্রহণ গ্রহনকারী বা মৃত্যু বরণকারী বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিকরা যা যা করবেঃ

  • প্রথমে বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক হিসেবে বিদেশে জন্ম বা মৃত্যুর যথাযথ প্রমাণ দাখিল করতে হবে।
  • পরে বিদেশে দাখিল করা প্রমান দেখিয়ে দেশে স্থায়ী ঠিকানায় নিবন্ধকের নিকট হতে জন্ম/মৃত্যু নিবন্ধন করতে পারবেন।

তদ্রুপ প্রবাসী বাংলাদেশীগণ ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের জন্ম ও স্থায়ী ঠিকানা উল্লেখ করে দূতাবাসে জন্ম নিবন্ধন করতে পারবেন।

প্রশ্ন: নতুন জন্ম নিবন্ধন কি ম্যানুয়াল খাতায় লিখতে হবে?

উত্তর: অবশ্যই না! নতুন জন্ম নিবন্ধন করার জন্য ‘টুল’-এ ‘নতুন জন্ম নিবন্ধন’-বাটনে ক্লিক করতে হবে। তারপর যে পাতা পাওয়া যাবে তাতে বাংলা বা ইংরেজী বা উভয় ভাবে ডাটা এন্ট্রি করে সংরক্ষণ করতে হবে।আর এভাবেই নতুন জন্ম নিবন্ধনের পৃথক একটি করে তালিকা যুক্ত হয়ে যাবে।

যে কয়টি ম্যানুয়াল খাতা অনলাইনে তৈরী করা হয়েছে তার পরের নম্বরে একটি বই সৃষ্টি হবে। এই বই এর ২০০ পাতা ও প্রতি পাতায় ১২ টি করে লাইন, এভাবে ২৪০০টি ডাটা এন্ট্রি হওয়ার পর সয়ংক্রিয়ভাবে পরবর্তী নম্বরের বই তৈরী হবে।

প্রশ্ন: UISC উদ্যোক্তারা কিভাবে নতুন জন্ম নিবন্ধন করবে?

উত্তর: UISC এর উদ্যোক্তরা হচ্ছেন Data Entry Operator। আর একজন Data Entry Operator মূলত ম্যানুয়াল খাতা হতে অনলাইনে ডাটা এন্ট্রি করেন।

তবে নতুন জন্ম নিবন্ধন করবেন ইউনিয়ন পরিষদের সচিব বা Authorized Person এর নিজে। Authorized Person ব্যতিত অন্যান্যরা সরাসরি নতুন জন্ম নিবন্ধন করতে পারবেন না।

তবে UISC এর উদ্যোক্তরা ‘টুল’-এ ‘জন্ম তথ্য প্রদান’ লিংকে প্রবেশ করে আবেনকারীর জন্ম তথ্য Authorized Person বরাবর প্রেরণ করতে পারবেন। পরবর্তীতে Authorized Person নিজে তথ্য সংরক্ষণ এর মাধ্যমে ঐ জন্ম তথ্য নিবন্ধন করতে পারবেন।

প্রশ্ন: একই ব্যক্তি একাধিকবার জন্ম নিবন্ধন করতে পারবে কি?

উত্তর: অবশ্যই না! একজন ব্যক্তি একাধিকবার জন্ম নিবন্ধন করতে পারবেন না। এটি জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন, ২০০৪ এর ২১ ধারা অনুযায়ী দন্ডনীয় অপরাধ।

প্রশ্ন: একজন ব্যক্তি জন্ম নিবন্ধন হয়েছে কিনা তা কিভাবে পরীক্ষা করবে?

উত্তর: কারোর জন্ম নিবন্ধন করা হলে তার নিবন্ধন তথ্য অনলাইনে সংরক্ষিত থাকে। অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন করা থাকলে br.lgd.gov.bd ওয়েব সাইটে প্রবেশ করে জন্ম তথ্য যাচাই অপশনে গিয়ে ব্যক্তির ব্যপন নম্বর ও জন্ম তারিখ প্রদান করে জন্ম নিবন্ধন হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যাবে বা করা যাবে জন্ম নিবন্ধন সনদ যাচাই । জন্ম নিবন্ধন সনদ যাচাই করতে নিচের বাটনে ক্লিক করুন।

প্রশ্ন: জন্ম নিবন্ধন সনদের ব্যক্তি পরিচিতি নম্বর (ব্যপন) ১৭ ডিজিটে কিভাবে রুপান্তর করতে হবে?

উত্তর: জন্ম নিবন্ধন সনদ যাচাই করে দেখলেন (ব্যপন) নাম্বার ১৭ ডিজিটের কম। এখন আপনার করনীয় কি? একদম সহজ একটি কাজের মাধ্যমে ব্যপন নম্বর ১৭ ডিজিটে রুপান্তর করতে পারবেন৷ ব্যপন নম্বর ১৭ ডিজিটের কম হলে সংশ্লিষ্ট নিবন্ধকের কার্যালয়ে পুরাতন সনদ জমা করতে হবে। তারপর আবার নতুন করে ১৭ ডিজিট ব্যপন নম্বর সম্বলিত সনদ নেয়া যাবে।

প্রশ্ন: ডাটা এন্ট্রি/জন্ম নিবন্ধন করতে গিয়ে SAVE না নিলে কী করতে হবে?

উত্তর: একাধারে ১৫ মিনিট এর বেশি সময় BRIS-এ কোন প্রকার কার্যক্রম না করলে সফটওয়্যার থেকে অটোমেটিক Log Out হয়ে যায়।এক্ষেত্রে ব্যবহারকারী কর্তৃক পুনরায় পরিচিতি নাম ও পাসওয়ার্ড প্রদান করে প্রবেশ করতে হবে।

প্রশ্ন: পাসওর্য়াড প্রদান করেও প্রবেশ করা না গেলে কী করতে হবে?

উত্তর: পাসওর্য়াড প্রদান করেও প্রবেশ করা না গেলে আপনাকে যা যা করতে হবেঃ

  • পাসওয়ার্ড প্রদান করার সময় ইংরেজী কী বোর্ড ব্যবহার করতে হবে।
  • যদি বাংলা Unicode Keyboard (যেমন Avro Keyboard) Active থাকে তবে সেটা বন্ধ করে Password প্রদান করে প্রবেশ করতে হবে।
  • অথবা কম্পিউটার Restart করে প্রবেশ করতে হবে।

প্রশ্ন: হাতে লিখা পুরাতন বহি হতে অনলাইনে ডাটা এন্ট্রি করতে কি নতুন জন্ম নিবন্ধন অপশনে প্রবেশ করতে হবে?

উত্তর: হাতে লিখা পুরাতন বহি হতে ডাটা এন্ট্রি করার সময় “নতুন জন্ম নিবন্ধন” অপশনে প্রবেশ করতে হবে না।

অনলাইনে তৈরীকৃত সংশ্লিষ্ট পুরাতন বইসমূহে প্রবেশ করে ডাটা এন্ট্রি করতে হবে।

কেবলমাত্র নতুন জন্ম নিবন্ধন এর ক্ষেত্রে টুল বক্সে উল্লিখিত “নতুন জন্ম নিবন্ধন” অপশনে প্রবেশ করে এন্ট্রি করতে হবে।

প্রশ্ন: সনদ অপশনে ক্লিক করার পরেও সনদ না এলে কী করতে হবে?

উত্তর: জন্ম ও মৃত্যু সনদ PDF Format-এ Open হয়। সুতরাং জন্ম নিবন্ধন সনদ যাচাই এর ক্ষেত্রে আপনার কম্পিউটারে Pdf Reader সফটওয়্যার না থাকলে আপনাকে Adobe Reader সফটওয়্যার বা অন্য কোনো Pdf Reader সফটওয়্যার Install করতে হবে।

প্রশ্ন: অনলাইন আবেদনের ক্ষেত্রে বাংলা লেখা না হলে কী করতে হবে?

উত্তর: অনলাইন আবেদনের ক্ষেত্রে বাংলা লেখার সময় বাংলা Unicode Software (যেমন Avro Keyboard) ব্যবহার করতে হবে।সুতরাং কম্পিউটারে বাংলা ইউনিকোড Software না থাকলে সেটি Install করে নিতে হবে।

প্রশ্ন: বিবাহিত নারীর জন্ম নিবন্ধন-এ স্বামীর নাম লিখা যাবে কি বা তার স্থায়ী ঠিকানা কীভাবে লিখতে হবে?

উত্তর: যে কোন জন্ম নিবন্ধনের ক্ষেত্রে পিতা ও মাতার নাম লিখতে হবে। কোন অবস্থাতে স্বামীর নাম লেখার সুযোগ নাই। বিবাহিত মহিলার স্থায়ী ঠিকানা বিবাহের পূর্বে যে ঠিকানা ছিল বা জন্মগত যে ঠিকানা ছিল সেটি লিখতে হবে।

প্রশ্ন: কিভাবে জন্ম নিবন্ধন বাংলা থেকে ইংরেজি করা যায়?

জন্ম নিবন্ধনে যে কোন তথ্যের পরিবর্তন, সংযোজন বা বিয়োজনকে সংশোধন বলে গন্য করা হয়। আপনাকে অনলাইনে একটি সংশোধনের আবেদন করতে হবে। আবেদনে আপনার ইংরেজি তথ্যসমূহ সংযোজন করবেন। 

প্রশ্ন: বাংলা ও ইংরেজী সনদ একসাথে প্রদান করা যাবে কিনা?

উত্তর: বাংলা ও ইংরেজী সনদ একসাথে প্রদান করা যাবে। প্রয়োজনে কাগজের একপৃষ্টায় বাংলা ও অপর পৃষ্ঠায় ইংরেজী সনদ প্রদান করা যাবে।

প্রশ্ন: জন্ম বা মৃত্যু তথ্য সংশোধনের নিয়ম কি ?

উত্তর: আইনের ১৫ ধারায় বর্ণিত বিধানসমূহ অনুসরণপূর্বক নিদিষ্ট ফরম পূরণ করে রেজিস্ট্রার জেনারেল অথবা তার পক্ষে অন্য কোন ক্ষমতাসম্পন্ন কর্মকর্তা/কর্মচারী নিকট হতে কারিগরী সহায়তা গ্রহণ করে জন্ম ও মৃত্যু তথ্য সংশোধন করা যাবে।

প্রশ্ন: একই সনদ ২য় বার ইস্যূ করা হলে নিবন্ধক কোন তারিখে সনদ এ স্বাক্ষর করবে?

উত্তর: জন্ম নিবন্ধন সনদ একাধিক বার ইস্যূ করা হলে, সনদ প্রদানের তারিখে ১ম বার জন্ম সনদ ইস্যূ করার তারিখ থাকবে। পরবর্তিতে নিবন্ধক একই সনদ পূনরায় ইস্যূ করলে যে তারিখে সনদ প্রিন্ট করা হয়েছে সেই তারিখে সনদে স্বাক্ষর করবেন।

প্রশ্ন: মৃত্যু নিবন্ধন কিভাবে করতে হবে?

উত্তর: ‘টুল’-এ মৃত্যু লিংকে প্রবেশ করলে প্রাপ্ত জন্ম তথ্য অনুসন্ধান পাতাটির মাধ্যমে মৃত ব্যক্তির জন্ম তথ্য অনুসন্ধান করে মৃত্যু নিবন্ধন করা যাবে।

মৃত ব্যক্তির যদি জন্ম নিবন্ধন করা না থাকে তাহলে প্রথমে জন্ম নিবন্ধন করে নিতে হবে অথবা ম্যানুয়াল খাতায় জন্ম নিবন্ধন থাকলে তা অনলাইনভূক্ত করে নিতে হবে।

মৃত ব্যক্তির জন্ম নিবন্ধন করানো সম্ভব না হলে জন্ম তথ্য অনুসন্ধান পৃষ্টার নিচের অংশে ‘অজ্ঞাত/বিদেশী’ বাটনে ক্লিক করে প্রাপ্ত ফরম পূরণ করে মৃত্যু নিবন্ধন করতে হবে।

মৃত্যু নিবন্ধন এর জন্য অনলাইনে সয়ংক্রিয়ভাবে বই তৈরী হয়ে যাবে যা টুলের ‘মৃত্যু নিবন্ধন বই’ লিংকে ক্লিক করে দেখা যায়।

প্রশ্ন: ২০০৬ সালের পূর্বে যারা মৃত্যু বরণ করেছেন তাদের মৃত্যু নিবন্ধন করা যাবে কিনা?

উত্তর: জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন ২০০৪ কার্যকর হয়েছে মূলত বিগত ২০০৬ এর ৩ জুলাই হতে। আইন কার্যকর হওয়ার পর এই আইনের বিধান অনুযায়ী কোন ব্যক্তির জন্ম ও মৃত্যু উভয় নিবন্ধনই করতে হবে।

অর্থ্যাৎ আইন কার্যকর হওয়ার দিন যতজন জীবিত ছিলেন বা তার পরে যতজন জন্ম গ্রহণ করেছেন তাদের প্রত্যেকের জন্যই এই আইন কার্যকর হবে।

কিন্তু ২০০৬ সালের ৩ জুলাইয়ের পূর্বে যিনি মৃত্যুবরণ করেছেন এই আইনের অধীনে তার জন্ম নিবন্ধন করার কোন সুযোগ নেই। কারন এই আইন কার্যকরই হয়েছে ২০০৬ এর ৩ জুলাই এ।

কোন মৃত ব্যক্তির জন্ম নিবন্ধন না হয়ে থাকলে তার মৃত্যু নিবন্ধনের পূর্বে জন্ম নিবন্ধন করা আবশ্যক। সতরাং বিদ্যমান জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইনের অধীনে ৩ জুলাই, ২০০৬ এর পূর্বে কোন ব্যক্তির মৃত্যু নিবন্ধন করা সঙ্গত হবেনা।

প্রশ্ন: অনলাইন জন্ম নিবন্ধনের ক্ষেত্রে Mozilla firefox -এ “Unable to connect” বা Google Chrome-এ “Your connection is Private” ধরনের মেসেজ এ ধরনের কোন সমস্যা দেখা গেলে কি করবেন??

উত্তর: Mozilla firefox এর ক্ষেত্রে প্রশ্নে উল্লিক্ষিত সমস্যা পেলে নিচের সহজ কয়েকটি ধাপে আপনি নিজেই তা সমাধান করতে পারবেন। এজন্য আপনাকে যা যা করতে হবে।

  • প্রথমে আপনি আপনার মডেমটি Disconnect করবেন। অথবা ওয়াই-ফাই কানেকশন টি ডিসকানেক্ট করবেন।
  • নেট ডিসকানেক্ট করার পর Chrome এর উপরের Tools মেনুতে গিয়ে Options এ যাবেন।
  • এরপর Privacy তে ক্লিক করবেন। Privacy তে ক্লিক করলে সেখানে মাঝ বরাবর খেয়াল করবেন নীল রংঙ্গের লেখা থাকবে “Clear of Recent History or Remove individual cookies”।
  • লীল রঙের লেখাটি পেয়ে গেলে আপনি Remove individual cookies এ ক্লিক করবেন। ক্লিক করার পর লক্ষ্য করবেন bris.lgd.gov.bd লেখা আছে কিনা।
  • যদি লেখাটি থাকে তাহলে bris.lgd.gov.bd ক্লিক করে Remove cookies ক্লিক করবেন।
  • আর bris.lgd.gov.bd যদি না থাকে তাহলে All Remove cookies এ ক্লিক করে Ok দিন ।
  • তারপর মডেম অথবা ওয়াইফাই কানেক্ট দিয়ে পুনরায় লগইন করুন। এখন সফলভাবে লগিন হওয়ার কথা।

Google Chrome এর ক্ষেত্রে প্রশ্নে উল্লিক্ষিত সমস্যা পেলে নিচের সহজ কয়েকটি ধাপে আপনি নিজেই তা সমাধান করতে পারবেন। এজন্য আপনাকে যা যা করতে হবে।

  • প্রথমে আপনি “Back to Safety” লেখার পাশে ছোট করে লেখা “Advanced” এ ক্লিক করবেন।
  • ক্লিক করলে একটি লিংক আসবে যেখান লেখা থাকবে “Proceed to bris.lgd.gov.bd (unsafe)”
  • উক্ত লিংক এ ক্লিক করলেই আপনি bris এর log in page এ প্রবেশ করতে পারবেন। এবং যেকোনো কাজ করতে পারবেন।

প্রশ্ন: অনলাইন জন্ম নিবন্ধনের ক্ষেত্রে সার্ভারের কানেকটিভিটি সংক্রান্ত বা সার্ভারের Error সংক্রান্ত কোন সমস্যা দেখা গেলে কি করবেন?

উত্তর: অনলাইনে জন্ম নিবন্ধনের ক্ষেত্রে সার্ভারের কানেকটিভিটি সংক্রান্ত বা সার্ভারের Error সংক্রান্ত কোন সমস্যা দেখা গেলে আপনাকে একটি মেইল করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে। আর মেইল করার এড্রেসটি হচ্ছে (onlinebris.@gmail.com)। ইউজারদের পাসওয়ার্ড বা মেয়াদ সংক্রান্ত কোন সমস্যা হলে যোগাযোগ করতে হবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ (UNO, DDLG) এর সাথে। তবে ইন্টারনেট স্পিড সংক্রান্ত কোন সমস্যা হলে তার সমাধান এর ব্যাপারে আপনাকেই ভাবতে হবে।

অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন যাচাই বা জন্ম নিবন্ধন যাচাই কপি প্রিন্ট নিয়ে আমরা সব কিছুই খোলামেলা আলোচনা করেছি। আশা করি এ থেকে আপনারা উপকৃত হবেন। নিজেই নিজের জন্ম নিবন্ধন সনদ ডাউনলোড করতে পারবেন । তবে জন্ম নিবন্ধন সনদ ডাউনলোড করতে গিয়ে কোনো সমস্যা হলে নিচে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।

You may also like

3 comments

online jonmo nibondhon January 25, 2022 - 8:44 am

Hi there, yup this article is truly nice and I have learned lot
of things from it on the topic of blogging. thanks.

Reply
md raj May 16, 2022 - 3:31 pm

Nice Post

Reply
Arif Rabbani Hasan October 13, 2022 - 6:41 am

ধন্যবাদ ভাই

Reply

Leave a Comment