সবচেয়ে সহজ ১১ টিঃ দাদ রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা । (চিরতরে দাউদ মুক্তি)

by Arif Rabbani Hasan
দাদ রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা

আপনি কি রিং ওয়ার্ম বা দাওদ রোগে আক্রান্ত? জানতে চান সবচেয়ে কার্যকারী দাদ রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে?

আপনি আমি সহ নারী-পুরুষ-শিশু-যুবক-বৃদ্ধ সবার ক্ষেত্রেই এটি একটি অতি পরিচিত এবং বিরক্তিকর রোগ। সামান্য অসাবধানতার কারণেই এ রোগটি হতে পারে। তবে অতি সাধারণ কিছু চিকিৎসা পদ্ধতির একটি অনুসরণ করলেই খুব দ্রুত আপনি দাদ মুক্ত হবেন  ইনশাআল্লাহ।

দাদ রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা

১) দাদ রোগের ঘরোয়া চিকিৎসায় মধু

মধুর উপকারিতা সম্পর্কে আমাদের সবারই কমবেশি একটা ধারণা থাকার কথা।

মধুকে বলা হয় মহৌষধ। দাঁদ রোগের ক্ষেত্রেও মধু একটি আদর্শ ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।

কেননা  ছত্রাকের সাধারণ বৃদ্ধিকে মধু খুব সহজেই প্রতিহত করতে সক্ষম। হাইড্রোজেন পার অক্সাইড ও ছত্রাকনাশক বিভিন্ন উপাদান থাকার কারনে মধু দাঁদ উপশমে এমন ভুমিকা রাখে।

দাঁদ দূরীকরণে মধুর ব্যবহারও যথেষ্ট সহজ। আপনি চাইলেই খুব সহজেই মধু ব্যবহার করতে পারেন।

সে ক্ষেত্রে প্রথমে আপনাকে পরিষ্কার তোলায় মধু লাগাতে হবে। তারপর পরিষ্কার তোলার দ্বারা সংক্রমিত স্থানে আলতোভাবে মধু লাগাতে হবে। এমন ভাবে মধু লাগাতে হবে যাতে সংক্রমিত স্থান পুরোটা ঢাকা থাকে।

এভাবে নিয়মিত কিছুদিন মধু ব্যবহার করলে দাঁদ সম্পূর্ণরূপে ভাল হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ।

২) দাদ রোগের ঘরোয়া চিকিৎসায় রসুন

এ পর্যায়ে কথা হচ্ছে সবথেকে সহজলভ্য একটি উপদান রসুন নিয়ে।

রান্নাবান্নার কাজে প্রত্যেকের বাড়িতেই এটি পাওয়া যায়।

আর রসুনে থাকে অ্যাজুইনা নামক এক ধরনের প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ফাঙ্গাল উপাদান,  যা যেকোনো ধরনের ফাংগাল ইনফেকশন প্রতিরোধ এবং প্রতিকারে জাদুকরী ভূমিকা পালন করে। রিংওয়ার্ম বা দাদ যেহেতু এক ধরনের ফাংগাল ইনফেকশন তাই দাদ উপশমেও এটি যথেষ্ট কার্যকারী।

খুব ভালো ফলাফলের জন্য প্রথমে আপনাকে কয়েকটি রসুনের কোয়া ছোট ছোট করে কেটে নিতে হবে।

তারপরে কেটে নেয়া রোশনের টুকরোগুলোকে সংক্রমিত স্থানে রেখে ব্যান্ডেজ এর সাহায্যে বেঁধে দিতে হবে।

প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বে এই কাজটি করতে হবে এবং সকালে উঠে তা খুলে পরিষ্কার করতে হবে। এই সহজ চিকিৎসাটি নিয়মিত কয়েকদিন করুন, চমকপ্রদক ফলাফল পাবেন ইনশাল্লাহ।

৩) দাদ রোগের ঘরোয়া চিকিৎসায় তুলসী

আপনি যদি বিভিন্ন গাছান্ত ওষুধের ব্যাপারে জেনে থাকেন তাহলে আপনার তুলসীর ব্যাপারে অবশ্যই একটা ধারণা থাকার কথা।

আমাদের গ্রামের বিভিন্ন বাড়িতে তুলসী গাছ খুব যত্নসহকারে লাগানো থাকে।

বাড়ির আশেপাশে পাওয়া যায় বলে তুলসী গাছ সংগ্রহ করা নিয়ে ঝামেলা হওয়ার কথা না।

তুলসী গাছ যেমন সহজলভ্য দাদ নিরাময়ে এর গুনাগুন ও তেমন অসাধারণ।

এর পাতায় থাকা অ্যান্টিইনফ্লামেটরি ও অ্যান্টিফাংগাল উপাদান, দাদের সংক্রমণ ঠেকাতে সক্ষম। ফলে সংক্রমিত স্থানের আশে পাশে দাঁদ ছড়াতে পারে না।

তাছাড়া তুলসী পাতা দাঁদের উপসর্গ, চুলকানি ও র‍্যাশ দূর করতে পারে।

খুব ভালো ফলাফল পাওয়ার জন্য প্রথমে আপনাকে তুলসীপাতার রস করে নিতে হবে।

তারপর এই রস নিয়মিত আক্রান্ত স্থানে লাগাতে হবে। কিছুদিন এই চিকিৎসাটি করে যান অবশ্যই ভালো একটা ফলাফল পাবেন ইনশাল্লাহ।

৪) দাদ রোগের ঘরোয়া চিকিৎসায় নিমপাতা

দাদ রোগের ঘরোয়া চিকিৎসার কথা হচ্ছে আর নিমপাতার কথা আসবে না তা কি হয়?

আমরা সবাই কমবেশি নিম পাতার বিভিন্ন গুণাগুণ সম্পর্কে জানি। তুলসী পাতার মতো বিভিন্ন রোগের ঔষধি হিসেবে এটিও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

নিমপাতায় থাকা অ্যান্টিসেপটিক এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল প্রপাটিজ দাউদ সহ আরও অন্যান্য  ত্বকের রোগের প্রকোপ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ  ভূমিকা পালন করতে পারে।

দাদের জন্য নিম পাতা ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রথমে আপনাকে নিমের তেল তৈরি করে নিতে হবে। আর নিমের তেল তৈরি করতে না পারলে তৈরিকৃত তেল সংগ্রহ করতে হবে।

তারপর আপনার সংক্রমিত স্থানে দিনে কয়েকবার এই তেল লাগান।

প্রথম দুই তিন দিনেই ভালো একটি ফলাফল পাবেন। তবে নিমের তেলের সঙ্গে এলোভেরা জেল মিশ্রিত করে কিছুদিন লাগালে  দারুন উপকার পাবেন।

৫) দাদ রোগের ঘরোয়া চিকিৎসায় পেঁপে

একটি সুস্বাদু ফল হিসেবে অনেকেই আমরা পেঁপে পছন্দ করি। তবে ফাংগাল ইনফেকশন প্রতিকারে পেঁপে পছন্দের ওষধি হতে পারে।

কারণ এতে যেমন আছে অ্যান্টিফাঙ্গাল প্রপাটিজ গুনাগুন তেমনি এটি ব্যবহার করা একদম সহজ।

ছোট একটি পেঁপের  টুকরা নিয়ে সংক্রমিত স্থানে লাগাতে হবে। তারপর 15 মিনিট অপেক্ষা করে গরম পানি দিয়ে সংক্রমিত স্থান ধুয়ে ফেলতে হবে।

আপনি যদি নিয়মিত পেঁপের মাধ্যমে এই সহজ চিকিৎসাটি করতে পারেন তাহলে অবশ্যই খুব দ্রুত ভাল ফলাফল পাবেন ইনশাআল্লাহ।

৬) দাদ রোগের ঘরোয়া চিকিৎসায় সরষে বীজ

আজকের Techtodayz এর এই আর্টিকেলে দাদ রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা নিয়ে কথা হচ্ছে।

এই চিকিৎসা পদ্ধতিতে যতগুলো উপাদান নিয়ে কথা হচ্ছে তার প্রত্যেকটি অত্যন্ত কার্যকরী। তবে চর্মরোগের চিকিৎসা পদ্ধতিতে সরষে বীজ এর গুরুত্বও কোনো ভাবে কম নয়।

আপনার বাসায় সরষে বীজ থাকলে আপনি এক মুঠো সরষে বীজ পরিমিত পরিমান পানিতে 30 মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। 30 মিনিট পর সরষে বীজ গুলো পানি থেকে আলাদা করুন। তারপর ভেজা বীজগুলোকে সুন্দরভাবে বেটে পেস্ট তৈরি করে নিন।

এ পেস্ট কয়েক দিন ক্ষত স্থানে লাগালে দাঁদ সেরে উঠবে ইনশাআল্লাহ।

৭) দাদ রোগের ঘরোয়া চিকিৎসায় অ্যালোভেরা

ছত্রাকের সংক্রমণ ঠেকাতে সক্ষম এমন উপাদানগুলোর মধ্যে অ্যালোভেরা অন্যতম।

অ্যালোভেরাতে বিদ্যমান উপাদানগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে রেজিন। আর রেজিন রিং ওয়ার্ম বা দাদের চুল্কানি, যন্ত্রণা ও প্রদাহ খুব দ্রুত সময়ে উপশম করতে সাহায্য করে।

অ্যালোভেরার ব্যবহার করাও একদম সহজ। আপনি চাইলে খুব সহজে এটি ব্যবহার করতে পারেন।

এক্ষেত্রে প্রথমে এলোভেরা থেকে পরিমাণমতো জেল সংগ্রহ করতে হবে।

রাতে ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বে অথবা দিনের নির্দিষ্ট যেকোনো সময় নিয়মিত এই জেল সংক্রমিত স্থানে লাগাতে হবে।

নিয়মিত এই ঘরোয়া চিকিৎসা টি করলে অল্পদিনেই আপনি রিং ওয়ার্ম বা দাদ রোগ থেকে আরোগ্য লাভ করবেন ইনশাল্লাহ।

৮) দাদ রোগের ঘরোয়া চিকিৎসায় জায়ফল

রিং ওয়ার্ম বা দাদ রোগ নিরাময়ে জায়ফল অত্যন্ত কার্যকর।

জায়ফলে থাকে অ্যান্টিসেপটিক এবং অ্যান্টিইনফ্লামেটরি উপাদান।

এসকল উপাদানগুলো থাকার কারনে দাদ নিরাময়ে জায়ফল এতো কার্যকর।

বিভিন্ন মুদি দোকানে জায়ফল পাওয়া যায়। জায়ফলের কার্যকারিতা ও সহজলভ্যতার কারণে দাদ রোগে নিরাময়ে আপনিও এটি ব্যবহার করতে পারেন সহজেই। 

প্রথমে জায়ফল গুঁড়া করে নিতে হবে। তারপর জাফরের এই গুঁড়া পরিমিত পরিমাণ পানিতে মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করতে হবে। তৈরিকৃত পেস্ট দাঁদ সংক্রমিত স্থানে যত্নসহকারে লাগাতে হবে।

আপনি যদি নিয়মিত এ কাজটি করতে পারেন তাহলে অবশ্যই একটি ভালো ফলাফল পাবেন ইনশাল্লাহ।

৯) ভিনেগার আর লবণের মিশ্রণ

আপনি কি চাচ্ছেন সাত দিনের মধ্যে দাঁদ রোগ ঘরোয়াভাবে ভালো করে ফেলতে?

ওয়েল, তাহলে আপনার জন্য আছে ভিনেগার আর লবণের মিশ্রণ।

প্রথমে আপনাকে অল্প পরিমানে ভিনেগার সংগ্রহ করতে হবে। তারপর পরিমিত পরিমাণ লবণ এর সঙ্গে অল্প পরিমাণ ভিনেগার মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করতে হবে। তারপর সেই পেস্ট রিংওয়ার্ম বা দাওদ এর ওপর লাগিয়ে 5 মিনিট অপেক্ষা করতে হবে।

এমনটি সাত দিন করলেই দাদ সেরে যাবে ইনশাআল্লাহ।

১০) হলুদ

এতক্ষণ যে সকল উপাদান নিয়ে কথা হলো সেগুলো আপনার আশেপাশে বিভিন্ন কারণে নাও পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু হলুদ অবশ্যই আপনার বাড়িতেই পাওয়া সম্ভব।

হলুদ যেমন আমাদের প্রত্যেকের বাড়িতে সহজলভ্য তেমনি দাদ নিরাময়ের এর  কার্যকারিতাও অভাবনীয়।

হলুদে থাকে বিপিল মাত্রায় অ্যান্টি-বায়োটিক প্রপাটিজ, যা দাদ সংক্রমণের  গতি কমাতে দারুন কাজ করে। 

হলুদের দ্বারা দাদ রোগের চিকিৎসা করতে প্রথমে আপনাকে হলুদ বেটে পানির সাথে মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরী করতে হবে। তারপর হলুদ আর পানির মিশ্রণটিতে পরিষ্কার তুলা ভিজিয়ে দাঁদ সংক্রমিত স্থানে আলতো ভাবে লাগাতে হবে।

প্রতিদিন নিয়ম করে তিনবার এই মিশ্রণটি আপনার সংক্রমিত স্থানে লাগালে খুব দ্রুত দাদ সেরে উঠবে ইনশাআল্লাহ।

১১) নারিকেল তেল

দাউদ এর ঘরোয়া চিকিৎসা নিয়ে আজকের আরটিক্যাল এ উল্লিখিত শেষ উপাদান টি হচ্ছে নারিকেল তেল।

এই উপাদানটির মাধ্যমেও আপনি খুব সহজে দাদ রোগের চিকিৎসা করতে পারেন।

নারিকেল তেলে থাকা বিভিন্ন ধরনের উপাদান অনেকগুলো চর্মরোগে প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করতে পারে।

প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বে সংক্রমিত স্থানে নারিকেল তেল লাগাতে হবে।

সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে তা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। 

এইকাজ কিছুদিন নিয়মিত করলে দাদ অনেকটাই সেরে উঠবে ইনশাআল্লাহ।

  • রিং ওয়ার্ম বা দাঁদ সংক্রমণ হওয়ার কারন
  • দাদ রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা

দাঁদ বা রিং ওয়ার্ম সংক্রমণ হওয়ার কারন

দাদ রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা
  • সাধারণত ভেজা বা স্যাঁতস্যাঁতে স্থান অর্থাৎ যে সকল স্থানে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস পৌঁছায় না,  সে সকল স্থানে ছত্রাক জন্ম নেয়। আর ছত্রাক থেকে জন্ম নেয় দাদ।
  • অপরিষ্কার কাপড়, আঁটসাঁট অন্তর্বাস ইত্যাদি পরিধান করলে সাধারণত দাঁদ হয়।
  • সংক্রমিত ব্যক্তির গামছা, তোয়ালে, কাপড় ইত্যাদি ব্যবহার করলে দাদ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • ব্যবহৃত পুরনো চিরুনি, মুজা ইত্যাদি থেকে দাঁদ সংক্রমিত হতে পারে।
  • অপরিষ্কার অপরিচ্ছন্ন, দীর্ঘ সময় যাবত ভেজা  এমন শরীর বা ত্বকে ছত্রাক সহজেই সংক্রমিত হয়। ফলে দাদ রোগ দেখা দেয়।
  • অত্যাধিক ঘামা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকা ইত্যাদি কারণে দাদ রোগ সংক্রমিত হয়।

অবশ্যই যেসকল কারণে দাঁদ রোগ হয় এগুলো থেকে বিরত থাকতে হবে। তারপর অতি সাধারণ কিছু চিকিৎসা পদ্ধতির একটি অনুসরণ করলেই খুব দ্রুত আপনি দাদ মুক্ত হবেন  ইনশাআল্লাহ।

দাদ এর ব্যাপারে কেন আমাদের সতর্ক হওয়া উচিত?

অত্যন্ত সাধারণ এবং অতি পরিচিত একটি ফাংগাল ইনফেকশন বা সংক্রমণ হচ্ছে দাঁদ। 

নারী-পুরুষ-শিশু সবার ক্ষেত্রেই এটি একটি অতি পরিচিত এবং বিরক্তিকর রোগ। সামান্য অসাবধানতার কারণে যে কারো এ রোগটি হতে পারে।

হাত, পা, পিঠ, পায়ের আঙ্গুল, হাতের আঙ্গুল এবং মাথার তালু  সহ শরীরের বিভিন্ন গোপন অংগে এ রোগ দেখা দেয়।

তীব্র চুলকানি, আশের মতো উঠতে থাকা, গোলাকার দাগ সৃষ্টি হওয়া ইত্যাদি দাদ রোগের সাধারন উপসর্গ।

সবচেয়ে দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে এই রোগটি ছোঁয়াচে। খুব দ্রুত সময়ে এটি একজন থেকে অন্যজনের শরীরে সংক্রমিত হতে পারে।

বর্তমান সময়ে উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থায় এই রোগের অনেক ওষুধ পাওয়া যায়। এসকল ঔষধ ব্যবহারের মাধ্যমে অনেক সময় এটি সম্পূর্ণরূপে নিরাময় হয় না।

তাই আজকের আর্টিকেলটিতে আমরা কথা বললাম সবচেয়ে কার্যকর কিছু ঘরোয়া চিকিৎসা পদ্ধতি এবং উপাদান নিয়ে যেগুলোর যেকোনো একটি ব্যবহার করলেই  দাদ রোগ সম্পূর্ণরূপে নিরাময় হবে ইনশাল্লাহ।

আরও জানুনঃ দাতের ব্যথায় করনীয় বা দাঁত ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা।

You may also like

Leave a Comment