জটিল জটিল সব টেক রিলেটেড সমস্যা চোখের পলকে সমাধান করার জন্য ল্যাপটপ ছাড়া দ্বিতীয় কোনো গ্যাজেট এর কথা আমাদের মাথায় আসে না। তবে ভালো পারফরম্যান্স পেতে আপনাকে কিনতে হবে বাজেটে সবচেয়ে ভালো ল্যাপটপ। কিন্তু সঠিক ধারনা না থাকার কারনে অনেকেই টাকা নষ্ট করেও ভালো ল্যাপটপ কিনতে পারেন না। তাই আজ আমরা আলোচনা করবো সবচেয়ে ভালো ল্যাপটপ চেনার উপায় সম্পর্কে।
ধন্যবাদ, চার্লস ব্যাবেজ নামক ভদ্রলোক কে, ভাগ্যিস তিনি কম্পিউটার আবিষ্কার করেছিলেন!
তবে হ্যা এখন যুগ বেশ আধুনিক আর টেকনোলজি নির্ভর, তাই দরকার আরো ভালো মানের ল্যাপটপ।
ওই যে বলে না, “Modern problem requires modern solutions”
জ্বি, ঠিক তাই! তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে সমস্যাগুলো যেমন আধুনিক এবং জটিল হচ্ছে তেমন তার জন্য প্রয়োজন অত্যাধুনিক এবং ভালো মানের ল্যাপটপ।
ল্যাপটপ কেনার আগে ল্যাপটপ সম্পর্কে আমাদের অবশ্যই ধারণা রাখতে হবে।
আর এজন্য ই আপনাকে জানতে হবে ভালো ল্যাপটপ চেনার উপায় এবং ঠিক কি কি ফিচার দেখে ল্যাপটপ কিনলে তা আপনার টাকা অপচয় এর কারন হবে না।
একারনে যে ফিচার গুলো আপনাকে অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে এবং পরিষ্কার ধারনা রাখতে হবে ভালো একটি ল্যাপটপ চিনতেঃ
- ✔️ প্রসেসর
- ✔️ র্যাম (RAM)
- ✔️ রোম ( ROM)
- ✔️ ডিসপ্লে ও গ্রাফিক্স
- ✔️ মাদারবোর্ড
- ✔️ সাইজ এবং ওয়েট
- ✔️ ব্যাটারি
- ✔️ সফটওয়্যার
- ✔️ ক্যামেরা
- ✔️ ব্রান্ড
ল্যাপটপ টা ঠিক কেনো কিনতে চাচ্ছেন?
ভালো ল্যাপটপ বা আপনার ব্যক্তিগত প্রয়োজনীয়তার জন্য কোনটি ভালো সেটা বাছাই করার আগে জানতে হবে আপনি ঠিক কি কারনে ল্যাপটপ টা কিনতে চাচ্ছেন। অফিসিয়াল কাজ, পড়াশোনার প্রয়োজনে, ভিডিও গেমস কিংবা গ্রাফিক্স এর কাজের জন্য অথবা শুধু মাত্র শখের বসে গান শোনা, মুভিও দেখা, ভিডিও দেখার জন্য কিনা সে অনুযায়ী সিলেক্ট করতে হবে আপনার কোনটা প্রয়োজন।
হয়ত আপনি শুধু অফিসিয়াল টুকটাক কাজ করতে চান যেমন এমএস ওয়ার্ড, এক্সেল, পাওয়ার পয়েন্ট, ইন্টারনেট ব্রাউজিং তো আপনার ল্যাপটপের কনফিগারেশনের সাথে কিন্তু যে গ্রাফিক্স ডিজাইন বা ভিডিও এডিটিং, ফটো এডিটিং, কিংবা গেইম যে গেইম খেলার জন্য ল্যাপটপ কিনতে চায় তার চাহিদা মিলবে না।
কারন তার দরকার দামি, অত্যাধুনিক এবং ভালো মানের ল্যাপটপ। এছাড়াও প্রয়োজনীয় কনফিগারেশন এর সাথে এটাও দেখতে হবে ল্যাপটপ এর চার্জ থাকছে কতটুকু, তা আপনার কাজ ঠিভাবে সম্পন্ন করতে যথেষ্ট কিনা।
বাজারের কোনো ল্যাপটপ ই আসলে খারাপ না, তবে নির্ধারণ করতে হবে আপনার জন্য আসলে কোনটা ভালো। ঠিক ভাবে না জেনে নিজের চাহিদার বাইরে ল্যাপটপ কিনলে খুব বড় সম্ভাবনা আছে আপনার ৪০/৫০ হাজার টাকার মতন বড় একটা এমাউন্ট নষ্ট হওয়া!
কোন ধরনের এবং কোন ব্রান্ডের ল্যাপটপ কিনবেন?
ওই যে বললাম, সবার চাহিদা এবং বাজেট এক রকম না। আপনার চাহিদা এবং বাজেটের উপর নির্ভর করবে আপনি কোন ধরনের এবং কোন ব্রান্ডের ল্যাপটপ আপনার জন্য একদম পারফেক্ট।
গ্রাহকের চাহিদার কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বর্তমানে ভালো ভালো ল্যাপটপ তৈরি করছে, এবং তাদের ভেতর কিন্তু প্রতিযোগিতা টাও আকাশচুম্বী!
জনপ্রিয় এবং হরহামেশাই যে সকল কোম্পানির নাম শুনবেন সেগুলো হলো Asus, Dell, HP, Acer, Apple, Lenovo, Xiaomi ইত্যাদি। প্রথমতঃ মাথায় রাখবে আপনার প্রয়োজনীয় কনফিগারেশন এবং ভালো কোন ব্রান্ডটি তা নিশ্চিত করছে, দ্বিতীয়তঃ আপনার বাজেট এবং শেষমেষ কোন কোম্পানি কত দিন পর্যন্ত গ্যারন্টি এবং ওয়ারেন্টি নিশ্চিত করছে।
Dell, HP, Asus, Acer, Lenovo আপনার মোটামুটি সকল ধরনের চাহিদা মেটাতে সক্ষম। মিডিয়াম রেঞ্জের বাজেট যদি থাকে আপনার এবং এক ই সাথে খুব ভালো পার্ফরমেন্স চান তাহলে যে কোনো টি ই পছন্দ করতে পারেন। তবে হ্যা, ল্যাপটপ এর দাম নির্ভর করে কনফিগারেশন এর উপর। ভালো কনফিগারেশন ল্যাপটপের দাম ও স্বাভাবিক ভাবে বেশি হয়ে থাকে। এখন তাহলে জানা যাক ভালো ল্যাপটপ আসলে আমরা কি কি বিবেচনা করে, কিভাবে চিনবো একটু বিস্তারিত ভাবেঃ
প্রসেসর (সিপিইউ)
ল্যাপটপের মুল বা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ বলা যায় প্রসেসর। ল্যাপটপ কি রকম এবং কতটুকু সার্ভিসিং দিবে তা আসলে নির্ভর করে প্রসেসর এর উপরেই যা শতকরা ৭০-৮০% মানুষ না জেনেই ল্যাপটপ কিনে ফেলে যার ফলাফল মন মতন ফিডব্যাক না পাওয়া।
একটা কথা অবশ্যই মনে রাখবে, লো কোয়ালিটির প্রসেসর স্লো এবং খারাপ পারফরম্যান্স দিবে অন্যদিকে হাই-কোয়ালিটির প্রসেসর ফাস্ট এবং ফিউরিয়াস পারফরম্যান্স দিবে। এক্ষেত্রে Single core প্রসেসর না কিনে Dual core বা Quad core কেনার চেষ্টা করবেন।
মার্কেট এ বিভিন্ন ধরনের কোম্পানির প্রচুর ক্যাটাগরির প্রসেসর রয়েছে যা থেকে একজন কম অভিজ্ঞতা সম্পন্ন কারোর পক্ষে বেছে নেওয়া খুব ই কঠিন। AMD এবং Intel বাজারে প্রচলিত সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রসেসর। যার মধ্যে Intel এর নাম আমরা কম বেশি সবাই শুনেছি। ৩০ হাজার টাকার কম বাজাটে AMD এবং ৩০ হাজার টাকার বেশিতে Intel কেনাটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। তবে অবশ্যই আপডেটেড প্রসেসর টা ই কিনতে হবে কারন যত updater processor হবে তত কম ব্যাটারির চার্জ খরচ হবে এবং বেশি ভালো সার্ভিস দিবে।
আরো জানুনঃ মাদারবোর্ড কি? মাদারবোর্ড এর বিভিন্ন অংশের নাম, পরিচিতি, ছবি
র্যাম (RAM)
ল্যাপটপ এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে এই র্যাম। স্মুথ পারফরম্যান্স এর জন্য সঠিক র্যাম বাছাই করার বিকল্প কিছু নেই। শুধুমাত্র ভালো মানের প্রসেসর থাকা মানেই ল্যাপটপ এর ফাস্ট কাজ করা না।অবশ্যই প্রসেসর এর সাথে মিলিয়েই আপনাকে কিনতে হবে সঠিক র্যাম টি। এক্ষেত্রে Core i3 ল্যাপটপ এর জন্য ৪ জিবি র্যাম Core i5 এর জম্য ৮ জিবি এবং Core i7 প্রসেসর এর ক্ষেত্রে অবশ্যই ১৬ জিবি র্যাম এর ল্যাপটপ নিশ্চিত করতে হবে।
রোম (ROM)
কম্পিউটারের স্থায়ি ম্যামোরিকে হার্ড ডিস্ক বা রোম বলা হয়। ল্যাপটপ কেনার সময় খেয়াল রাখুন হার্ডড্রাইভ বেশি কিনা। কম স্পেসের হার্ড ডিস্ক খুব সহজেই এটা ওটাতে পূর্ণ হয়ে যায়, যা কিছু দিন পর ই আপনাকে বিরক্তিতে ফেলবে। বেশি স্পেসের একটি হার্ডডিস্ক আপনাকে এই বিড়ম্বনা থেকে রেহাই দিবে। এক্ষেত্রে মানের দিকেও নজর দিবেন, যা আপনাকে আশানুরূপ ফল পেতে সাহাজ্য করবে। মনে রাখবেন হার্ডডিস্ক কিছুদিন পুরনো হলে স্লো হয়ে যায়। এক্ষেত্রে ভালো পারফরম্যান্সের জন্য হার্ডডিস্ক বা হার্ডড্রাইভের বদলে এসএসডি স্টোরেজ নিতে পারেন।
বর্তমানে মার্কেটে Hard Disck Drive (HDD) এবং Solide State Drive (SSD) এই দুই ধরনের হার্ড ডিস্ক পাওয়া যায়। সাধারণত HDD এর তুলনায় SSD এর স্পীড অনেক বেশি হয়। একটি HDD এর স্পিড 100MB এর একটু বেশি হয়, আপরদিকে একটি SSD এর স্পিড 600MB এর কাছাকাছি হয়ে থাকে।
জেনারেশন
ভালো ল্যাপটপ চেনার অন্যতম উপয় হলো ভালো ল্যাপটপটির জেনারেশন কত। আপডেট জেনারেশন মানেই আপনি ভালো ল্যাপটপ এই হাত দিয়েছেন। কখন ই জেনারেশন না জেনে ল্যাপটপ কিনবেন না। আপডেট জেনারেশন আর আপডেট ল্যাপটপ পরস্পর সম্পর্কযুক্ত। লক্ষ্য রাখবেন ৭ম জেনারেশন এর নিচে যেনো আপনার ল্যাপটপ না হয়।
আরো জানুনঃ সেরা ১০ টি কম দামে ভালো ফোন 2022 বাংলাদেশ।
ডিসপ্লে ও গ্রাফিক্স
ডিসপ্লে তে ছাড় দেওয়ার কোনো প্রশ্ন ই আসবে না। রেজুলেশন এবং ব্রাইটনেস এর দিকে বিশেষভাবে খেয়াল রাখবেন। হাই রেজুলেশনের মুভি বা ভিডিও দেখা, গেম খেলা ও গ্রাফিক্সের কাজ এর জন্য ক্রিস্টাল ক্লিয়ার ছবি পেতে ১০৮০পি ডিসপ্লে কিনুন।
তবে এইচডি বা ৭২০পি রেজুলেশনেও ভালো সার্ভিস পাবেন। তবে এইচডি ডিসপ্লের সাথে চাইলে গ্রাফিক্স কার্ড সংযোগ করতে পারেন। এতে করে গ্রাফিক্স এর কাজ করতে, গেইম খেলতে এক্সট্রা সুবিধা পাবেন তবে এক্ষেত্রে আপনার প্রয়োজন হবে 4GB গ্রাফিক্স কার্ড যুক্ত ল্যাপটপ এর তবে মিনিমান সুবিধা পেতে
অন্তত 2GB গ্রাফিক্স কার্ড আছে এমন ল্যাপটপ কিনুন।
মাদারবোর্ড
ল্যাপটপ এর মাদারবোর্ড এর ক্ষেত্রে একটি বিষয় লক্ষনীয় আর তা হলো এইটি সব ধরনের আপডেট ডিভাইস এর চিপ সাপোর্টেড কি-না লক্ষ্য রাখবে বিশেষকরে DDR4 RAM, M.2 SSD এবং NVME M.2 SSD সাপোর্ট করে কিনা। এতে করে ভবিষ্যতে ল্যাপটপ আপগ্রেট করতে চাইলে সুবিধা হবে।
সাইজ এবং ওয়েট
সাইজ এবং ওয়েট একেবারেই ব্যক্তিগত রুচি এবং প্রয়োজনীয়তার উপর নির্ভর করে। আপনি কিভাবে, কোথায় এবং কি বিষয়ক কাজ করছেন তার সাথে মানানসই সাইজের এবং ওজনের ল্যাপটপ বাছাই করুন। বাইরে সাথে নিয়ে চলাচল করতে হবে কিছুটা হাল্কা এবং স্মার্ট ল্যাপটপ চ্যুজ করাই পারফেক্ট ডিসিশন। এক্ষেত্রে ১৪ ইঞ্চির ল্যাপটপ কিনতে পারেন আর বাসায় বসে কাজ করার হলে ১৫ ইঞ্চিই যথেষ্ট। আর বাজেট সমস্যা না হলে Note Book তো আছেই!
ব্যাটারি
ল্যাপটপের বাহাদুরি টা-ই কিন্তু এখানে! চার্জ দিয়ে পরবর্তীতে ব্যাবহার করা যায় বলেই কম্পিউটার থেকে ল্যাপটপ এর চাহিদা এত বেশি। চাই ব্যাটারি ও কম গুরুত্বপূর্ণ অংশ না। তবে কতটা ব্যাক আপ দিবে সেটাও খেয়াল রাখুন, ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ব্যাক আপ দিবে এমন ল্যাপটপ কিনুন। বেশি সময় ধরে চার্জ ধরে রাখতে যেসকল ব্যাটারিতে 44Wh বা 50Wh লেখা থাকে সেসকল ল্যাপটপ এর উপর ভরসা রাখতে পারেন।
সফটওয়্যার
খেয়াল রাখবে ল্যাপটপে পুরোনো উইন্ডোস ভার্সন যেমন Windows 7 বা Windows 8 দেয়া আছে কিনা। পুরোনো নয় বরং নতুন উইন্ডোজ যেমন Windows 10 ব্যাবহার করুন। পুরোনো উইন্ডোজ এর চেয়ে নতুন উইন্ডোজ গুলো বেশি চমকপ্রদ এবং বিভিন্ন বিষয়ে অসাধারণ সব সুবিধা দিয়ে থাকে।
এক্ষেত্রে আপনি “Windows 10 pro“, “Windows 10 home” বা “Windows 10 professional” ব্যাবহার করতে পারেন। যা আপনাকে ফাস্ট এবং এক্সিলেন্ট performance দিবে।
ক্যামেরা
পূর্বে এত চাহিদা না থাকলেও বর্তমানে কিন্তু ভালো ক্যামেরা খুব ই গুরুত্বপূর্ণ অংশ একটি ল্যাপটপ এর জন্য। অনলাইন নির্ভর বর্তমান যুগে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, অফিস, সব সেক্টরে কিভাবে সময় বাঁচিয়ে স্মার্টলি সব কাজ করা যায় সে চাষ্টাই করছে
ব্র্যান্ড
ল্যাপটপ এর ক্ষেত্রে ব্রান্ড অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। ভালো ব্রান্ড ভালো ল্যাপটপ তৈরি করবে এটাই স্বাভাবিক। যেমন Apple এর ল্যাপটপ সেরা, এটা চোখ বন্ধ করে বলা গেলেও বাজেট টা একটু বেশি দরকার এটি ক্রয়ের জন্য। তাছাড়া Apple যেহেতু আমাদের দেশে অফিসিয়ালি সেল করছে না এখন পর্যন্ত তাই সার্ভিসিং ঝামেলা তো আছেই।
তবে মিডিয়াম বাজেটের মধ্যে HP, DELL, ASUS এবং ACER অনেক ভালো। ব্যক্তিগত Dell, এবং HP দুই ব্রান্ডেরই ল্যাপটপ ব্যবহার এর অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি HP আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছে। এছাড়াও HP Probook, ASUS Vivobook সিরিজের ল্যাপটপগুলো দেখতে বেশ স্মার্ট আর হাই কোয়ালিটির।
শেষ কথা
এখন কি প্রথম দিকে যেমন গোলমেলে সব মনে হচ্ছিলো তেমন টি ই মনে হচ্ছে? না- তো? আশা করি ল্যাপটপ কেনার ক্ষেত্রে এখন আর কোনো কিছুই জটিল মনে হবে না। একটি ভালো ল্যাপটপ চেনার উপায় গুলো কিন্তু এগুলোই! এখন খুব সহজেই আপনার প্রয়োজন এবং বাজেট অনুযায়ী পছন্দের ল্যাপটপ টা কিনতে পারবেন। আমার মনে হয় ছেলে-মেয়ে উভয়ের উচিত এই বিষয়গুলো নিয়ে পরিষ্কার ধারনা রাখা, যাতে অন্যের ভুলভাল পরামর্শ বা বিক্রেতার কথার গোলকধাঁধা থেকে বেরিয়ে নিজের মর্জিমাফিক ল্যাপটপ কেনা যায়। ভালো ল্যাপটপ চেনার উপায় সম্পর্কে সম্পূর্ণ আরটিক্যালটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ